পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি ૨brજ হই—এমন এক জগতে নীত হই, যাহা কোন কালে বুঝিবার উপায় নাই ; অথচ তাহ সর্বদা আমাদের নিকটেই রহিয়াছে। এই মহান ভাবের পিছনেও ছায়ার ন্যায় অনুগামী অার এক মহান ভাব রহিয়াছে, যাহা মানবজাতির অধিকতর গ্রহণযোগ্য, লোকের প্রাত্যহিক জীবনে অনুসরণের অধিকতর উপযোগী, যাহা মানবজীবনের প্রত্যেক বিভাগে প্রবেশ করানো যাইতে পারে। এই ভক্তিবীজ ক্রমে পুষ্ট হইয়াছে এবং পরবর্তী কালে পূর্ণভাবে ও স্বম্পষ্ট ভাষায় প্রচারিত হইয়াছে—আমরা পুরাণকে লক্ষ্য করিয়া এ-কথা বলিতেছি । পুরাণেই ভক্তির চরম আদর্শ দেখিতে পাওয়া যায়। ভক্তিবীজ পুর্বাবধি বর্তমান ; সংহিতাতেও উহার পরিচয়, উপনিষদে কিঞ্চিং অধিক বিকাশ, কিন্তু পুরাণে বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায় । সুতরাং ভক্তি কী বুঝিতে হইলে আমাদের এই পুরাণগুলি বুঝ! আবশ্বক । পুরাণের প্রামাণিকত্ব লইয়। ইদানীং বহু বাদানুবাদ হইয়া গিয়াছে । এখান হইতে ওখান হইতে অনেক ংশ লইয়া সমালোচনা হইয়াছে, যেগুলির ঠিক অর্থ পাওয়া যায় না । অনেক ক্ষেত্রে দেখানে হইয়াছে, ঐ অংশগুলি আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে টিকিতে পারে না, ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু এই বাদাতুবাদ ছাড়িয়া দিয়া, পৌরাণিক উক্তিগুলির বৈজ্ঞানিক ভৌগোলিক ও জ্যোতির্ষিক সত্যাসত্য প্রভৃতি ছাড়িয়া দিয়া একটি জিনিস আমরা নিশ্চিতরূপে দেখিতে পাই ; প্রায় স্কুল পুরাণেই আগা হইতে গোড় পর্যন্ত তন্ন তন্ন করিয়া আলোচনা করিলে সর্বত্র এই ভক্তিবাদের পরিচয় পাওয়া যায়। সাধু-মহাত্মা ও রাজষিগণের চরিত-বর্ণনমুখে উহার পুনঃ পুন: উল্লেখ ও আলোচনা করা হইয়াছে এবং দৃষ্টান্ত দেওয়া হইয়াছে। সৌন্দর্ঘের মহান আদর্শের-ভক্তির আদর্শের দৃষ্টান্থসমূহ বিবৃত করাই যেন পুরাণগুলির প্রধান কাজ বলিয়া মনে হয়। পুর্বেই বলিয়াছি, এই আদর্শ সাধারণ মানবের ধারণার পক্ষে অধিকতর উপযোগী ! এমন লোক অতি অল্পই আছেন, র্যাহারা বেদাস্তালোকের পুর্ণচ্ছটার মহিমা বুঝিতে ও উহার আদর করিতে পারেন—উহার তত্ত্বগুলি জীবনে পরিণত করা তো দূরের কথা। কারণ, প্রকৃত,বেদান্তীর প্রথম কার্য শুভীঃ বা নির্ভীক হওয়া। যদি কেহ দোষ্ঠী হইবার স্পর্ধ রাখে, তাহাকে হৃদয় হইতে ভয় একেবারে নির্বাসিত করিতে হইবে। আর আমরা জানি, 金一游夺