পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্তি సె\రి 羈 সে এই প্রেমের মাদর্শে উপনীত হইবার সাহায্য পায়, ভগবান তাহার ইচ্ছা পুর্ণ করুন --সে যদি চায়, তাহাকে বিশটি প্রতিমা পূজা করিতে দাও । যেকোন বিষয় হউক, যদি ঐগুলি তাহাকে ধর্মের সেই চরম লক্ষ্যবস্তু লাভ করিতে সহায়তা করে, এবং যদি তাহা নীতিবিরুদ্ধ না হয়, তবে অবাধে সে ঐগুলি অবলম্বন করুক। নীতিবিরুদ্ধ না হয়?—এ-কথা বলিবার উদ্দেশ্য এই যে, নীতিবিরুদ্ধ বিষয় আমাদের ধর্মপথে সহায় না হইয়া বরং বহুল বিস্তুই স্বষ্টি করিয়া থাকে । ভারতে কবীয়ই সর্বপ্রথম ঈশ্বরোপাসনায় প্রতিমা-ব্যবহারের বিরুদ্ধে দাড়ান। ভারতে এমন অনেক বড় বড় দার্শনিক ও ধর্মসংস্থাপকের অভু্যদয় হইয়াছে, র্যাহারা ভগবান যে সগুণ বা ব্যক্তিবিশেষ, ইহা বিশ্বাস করিতেন নু এবং অকুতোভূয়ে সর্বসাধারণের সমক্ষে সেই মত প্রচার করিয়া গিয়াছেন ; কিন্তু র্তাহারাও প্রতিমাপূজায় দোষারোপ করেন নাই । বড় জোর বলা যায়, তাহারা উহাকে খুব উচ্চাঙ্গের উপাসনা বলিয়া স্বীকার করেন নাই । কোন পুরাণেই প্রতিমাপুজাকে উচ্চাঙ্গের উপাসনা বলা হয় নাই। যে-সব য়াহুদী বিশ্বাস করিতেন, জিহোবা একটি পেটিকায় অবস্থান করেন, তাহারাও মূর্তিপূজক ছিলেন। শুধু অপরে মন্দ বলে বলিয়া মূর্তিপুজায় দোষারোপ করা উচিত নহে। বরং প্রতিমা বা অপর কোন জড়বস্তু যদি মানুষকে ধর্মলাভে সাহায্য করে, তবে স্বচ্ছন্দে উহা ব্যবহার করা যাইতে পারে। আর আমাদের এমন কোন ধর্মগ্রন্থ ব্লাই, যাহাতে এ-কথা অতি পরিষ্কারভাবে বলা হয় নাই যে, জড়ের সাহায্যে অনুষ্ঠিত বলিয়া উহা অতি নিম্নস্তরের উপাসনা । সমগ্র ভারতে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর জোর করিয়া প্রতিমাপুজা চাপাইবার যে চেষ্টা হইয়াছিল, তাহার দোষ দেখাইবার উপযুক্ত ভাষা আমি খুজিয়া, পাই না। প্রত্যেক ব্যক্তির কি উপাসনা করা উচিত এবং কোন বস্তু-অবলম্বনে উপাসনা করা উচিত, তাহা তাহাকে হুকুম করিবার জন্য অপরের কি মাথাব্যথা পড়িয়াছিল ? কি করিয়া সে জানিবে, কিসের সাহায্যে আর একজনের উন্নতি হইবে—প্রতিমাপূজা দ্বারা, না অগ্নিপূজা দ্বারা, না এমন কি একটা স্তম্ভের উপাসনা দ্বারা ? আমাদের নিজ নিজ গুরু এবং গুরুশিন্তের সম্বন্ধ দ্বারাই .ੇਸ਼ বিষয় নির্দিষ্ট ও পরিচালিত হইবে । ভক্তিগ্রন্থে ইষ্টসম্বন্ধে যে-নিয়ম আছে, তাহা হইতেই ইহার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। অর্থাৎ