পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象。b- স্বামীজীর বাণী ও রচনা মহিত্বা”—এই হিমালয় পর্বত র্যাহার মহিমা ঘোষণা করিতেছে। এ খুব উচ্চ ধারণ বটে, কিন্তু ভারতের পক্ষে ইহা পর্যাপ্ত হয় নাই। ভারতীয় মন ঐ পথ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিল। ভারতবাসীর গবেষণা সম্পূর্ণরূপে বহির্জগৎ ছাড়িয়া ভিন্ন দিকে গেল, অন্তর্জগতে অনুসন্ধান আরম্ভ হইল, জড় হইতে র্তাহারা ক্রমশ: চৈতন্তে আসিলেন । এই প্রশ্ন চতুর্দিক হইতে শ্রত হইতে লাগিল ; মৃত্যুর পর মানুষের কি হয় ?—‘অস্তীত্যেকে নায়ুমন্তীতি চৈকে —কেহ বলে, মৃত্যুর পর মানুষের অস্তিত্ব থাকে ; কেহ বলে, থাকে না । হে যমরাজ, ইহার মধ্যে সত্য কি ? এখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রণালী অনুস্থত হইয়াছে, দেখিতে পাই । ভারতীয় মন বহির্জগৎ হইতে যাহা পাইবার তাহা পাইয়াছিল, কিন্তু উহাতে সে সন্তুষ্ট হয় নাই, আরও গভীর অনুসন্ধানের প্রয়াসী হইয়াছিল, নিজের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া আত্মার মধ্যে অনুসন্ধান করিয়া সমস্ত মীমাংস করিবার চেষ্টা করিয়াছিল ; শেষে উত্তর আসিল । বেদের এই ভাগের নাম উপনিষদ বা বেদান্ত বা আরণ্যক বা রহস্য । এখানে আমরা দেখিতে পাই যে, ধর্ম বাহ ক্রিয়াকলাপ হইতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। এখানে আমরা দেখিতে পাই, আধ্যাত্মিক তত্ত্বগুলি জড়ের ভাষায় নহে, চৈতন্তের ভাষায় বণিত—স্বৰ্ম্মতত্ত্বসমূহ তাহার উপযুক্ত ভাষায় বণিত হইয়াছে। এখানে আর কোনরূপ স্থূলভাব নাই, আমরা যে-সকল বিষয় লইয়া সচরাচর ব্যস্ত থাকি, সেই-সকল বিষয়ের সহিত জোড়াতালি দিয়া সামঞ্জস্ত করিবার চেষ্টা নাই। উপনিষদের মহামনা ঋষিগণ অত্যন্ত সাহসের সহিত—এখন আমরা । এরূপ সাহসের ধারণাই করিতে পারি না—নিৰ্ভয়ে কোনরূপ জোড়াতালি না দিয়া মানবজাতির নিকট মহত্তর সত্যসমূহ প্রচার করিয়াছিলেন ; এইরূপ উচ্চতম সত্য জগতে আর কখনও প্রচারিত হয় নাই | হে আমার স্বদেশবাসিগণ, আমি তোমাদের নিকট সেইগুলি বিবৃত করিতে চাই । বেদের এই জ্ঞানকাণ্ড বিশাল সাগরের মতো । উহার বিন্দুমাত্র বুঝিতে হইলেও অনেক জন্ম প্রয়োজন। এই উপনিষদ সম্বন্ধে রামান্থজ ঠিকই বলিয়াছেন, বেদান্ত বেদের বা শ্রুতির শিরঃস্বরূপ,—আর সত্যই ইহা বর্তমান ভারতের ১ কঠ উপ., ১২ •