পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত \రి:Rరి অদ্বৈতবাদ আমাদিগকে শিক্ষা দেয়—সমষ্টিজ্ঞানেই মানুষের প্রকৃত ব্যক্তিত্ব, ব্যষ্টিজ্ঞানে নহে। যখন তুমি নিজেকে সমগ্র জগৎ-রূপে অনুভব করিতে পারিবে, তখনই তোমার প্রকৃত অমৃতত্ব লাভ হইবে। তখনই তুমি ভয়শূন্ত ও অমৃতস্বরূপ হইবে, যখন নিজেকে সমগ্র জগৎ-রূপে জানিবে, আর তখনই তোমার সহিত জগৎ ও ব্রহ্মের অভেদবোধ হইবে । এক অখণ্ড সত্তাকেই আমাদের মতো ' মনোবৃত্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ এই চন্দ্রস্থর্যতারকাদি-সমন্বিত ব্ৰহ্মাও-রূপে দেখিয়া থাকে। যাহারা আর একটু ভাল কাজ করে এবং সেই সংকর্মবলে অন্যপ্রকার মনোবৃত্তিসম্পন্ন হয়, তাহারা মৃত্যুর পর ইহাকেই ইন্দ্রাদিদেব-সমন্বিত স্বর্গাদিলোক-রূপে দর্শন করে । র্যাহারা আরও উন্নত, তাহারা সেই এক বস্তুকেই ব্রহ্মলোক-রূপে দেখেন, এবং র্যাহারা সিদ্ধ হইয়াছেন,তাহার। পৃথিবী স্বৰ্গ বা অন্য কোন লোক কিছুই দেখেন না, তাহাদের নিকট এই ব্রহ্মাণ্ড অস্তহিত ईब, তাহার পরিবর্তে একমাত্র ব্রহ্মই বিরাজমান থাকেন। আমরা কি এই ব্রহ্মকে জানিতে পারি ? সংহিতায় অনস্তের বর্ণনার কথা আমি তোমাদিগকে পূর্বেই বলিয়াছি, এখানে তাহার ঠিক বিপরীত—এখানে অন্তর্জগতের অনস্তজ্ঞানের চেষ্টা । সংহিতায় বহির্জগতের অনন্ত বর্ণনা ; এখানে চিন্তাজগতের, ভাবজগতের অনন্ত বর্ণনা । সংহিতায় অস্তিভাবদ্যোতক ভাষায় অনস্তকে বর্ণনা করিবার চেষ্ট হইয়াছিল ; এখানে সে-ভাষায় কুলাইল না, নাস্তিভুবের ভাষায় অনন্তের বর্ণনা করিবার চেষ্টা হইল। এই ব্রহ্মাণ্ড রহিয়াছে। স্বীকার করিলাম, ইহা ব্ৰক্ষ। আমরা কি ইহা জানিতে পারি ? না, না। তোমাদিগকে আবার এই বিষয়টি স্পষ্টরূপে বুঝিতে হইবে । পুনঃ পুন: তোমাদের মনে এই সন্দেহ আসিবে—যদি ইহা ব্ৰহ্ম হয়, তবে আমরা কিরূপে উহাকে জানিতে পারি ? 'বিজ্ঞাতারমরে কেন বিজানীয়াং ?১—বিজ্ঞাতাকে কিরূপে জানিবে ? চক্ষু সকল বস্তু দেখিয়া থাকে—চক্ষু কি নিজেকে দেখিতে পায় ? পায় না, কারণ জ্ঞানক্রিয়াটিই একটি নিম্ন অবস্থা । ঘুে আৰ্বসন্তানগণ, তোমাদিগকে এই বিষয়টি বিশেষভাবে মনে রাখিতে হইবে, কারণ এই তত্ত্বটির ভিতর অনেক জ্ঞাতব্য তথ্য আছে। তোমাদের 5------------سس - ১ বৃহদারণ্যক উপ., & ৪১৪