পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদাস্ত \אסd এই তত্ত্বটি আমাদিগকে বুঝিতে হইবে—বিজ্ঞাতারমরে কেন বিজনীয়াং —বিজ্ঞাতাকে কি করিয়া জানিবে ? জ্ঞাতাকে কখন জানিতে পারা যায় না, কারণ যদি তাহাকে জানা যাইত, তাহ হইলে তিনি আর জ্ঞাত থাকিতেন না। - দর্পণে যদি তোমার চক্ষুর প্রতিবিম্ব দেখ, তাহাকে তুমি কখন চক্ষু বলিতে পার না ; তাহা অন্য কিছু, তাহা প্রতিবিম্বমাত্র। এখন কথা এই, যদি এই আত্মা—এই অমস্ত সর্বব্যাপী পুরুষ সাক্ষিমাত্র হইলেন, তাহা হইলে আর কি হইল ? ইহা তো আমাদের মতো চলিতে ফিরিতে, জীবনধারণ করিতে এবং জগৎকে সম্ভোগ করিতে পারে না ; সাক্ষিস্বরূপ যে কিরূপে আনন্দসম্ভোগ করিতে পারে, লোকে সে-কথা বুঝিতে পারে না । ‘ওহে হিন্দুগণ, তোমরা সব সাক্ষিশ্বরূপ,—এই মতবাদের দ্বারাই তোমরা নিস্ক্রিয়, অকর্মণ্য হুইয়া পড়িয়াছ”—এই কথাই লোকে বলিয়া থাকে। তাহাদের কথার উত্তর દ્ધ ફ્રે —যিনি সাক্ষিস্বরূপ, তিনিই প্রকৃতপক্ষে আনন্দসম্ভোগ করিতে পারেন । কোন স্থানে যদি একটা কুস্তি হয়, তাহা হইলে ঐ কুস্তির আনন্দভোগ বেশী করে কাহারা ?—যাহারা কুস্তি করিতেছে তাহারা, না দর্শকেরা ? এই জীবনে যতই তুমি কোন বিষয়ে সাক্ষিস্বরূপ হইতে পারিবে, ততই তুমি অধিক আনন্দ ভোগ করিবে । ইহাই প্রকৃত আনন্দ ; আর এই কারণে তখনই তোমার অনন্ত আনন্দ সম্ভব, যখন তুমি এই ব্রহ্মাণ্ডের সাক্ষিস্বরূপ হও। তখনই তুমি মুক্তপুরুষপদবাচ্য। যে সাক্ষিস্বরূপ, সে-ই স্বর্গে যাইবার বাসনা না রাখিয়া, নিন্দাস্তুতিতে সমজ্ঞান হইয়া নিষ্কামভাবে কাজ করিতে পারে। যে সাক্ষিস্বরূপ সে-ই আনন্দ ভোগ করিতে পুরে, অন্ত কেহ নহে। অদ্বৈতবাদের নৈতিক দিক আলোচনা করিতে যাইয়া দার্শনিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আর একটি বিষয় আসিয়া থাকে-উহা মায়াবাদ। অদ্বৈতবাদের “অন্তর্গত এক একটি বিষয় বুঝিতেই বৎসরের পর বংসর কাটিয়া যায়, বুৰাইতে আবার আরও বিলম্ব লাগে। অতএব আমাকে ইহার সামান্য কিছু উল্লেখ করিয়াই নিরস্ত হইতে হইবে। এই মায়াবাদ বুঝা চিরকালই একটি কঠিন ব্যাপার। মোটামুটি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি যে, মায়াবাদ প্রকৃতপক্ষে "বাদ বা মতবিশেষ নহে, মায়া দ্ধেশকালনিমিত্তের নাম—আরও সংক্ষেপে উহাকে' নামৰূপ বলে। সমুদ্র হইতে সমুদ্রের তরঙ্গের প্রভেদ ८क्वन नाय्य ९ कृश, भाब उब्रक হইতে এই নােমরূপের কোন পৃথক্ সত্তা