পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8br স্বামীজীর বাণী ও রচনা হইয়া দাড়াইয়াছে। এ-ভাব দূর হওয়া চাই-ই চাই, আর যত শীঘ্র উহা চলিয়া যায়, ততই মঙ্গল। উপনিষদসমূহ নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত হউক, আর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ-বিসংবাদ যেন না থাকে । তারপর স্বামীজী উপনিষদে বর্ণিত দুইটি পক্ষীর উদাহরণ দিয়া জীবাত্ম ও পরমাত্মার সম্বন্ধ উত্তমরূপে বুঝাইয়া দিলেন । শ্রোতৃবৃন্দ মোহিত হইলেন | স্বামীজীর শীর তত সুস্থ না থাকায় এই পর্যন্ত বলিয়াই তিনি অত্যন্ত ক্লান্ত হইয়। পড়াতে অর্ধঘণ্ট বিশ্রাম করিলেন । শ্রোতৃমণ্ডলী উৎসুকভাবে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । আধঘণ্টা পরে স্বামীজী বলিলেন ; জ্ঞান-অৰ্থে বহুত্বের মধ্যে একত্বের আবিষ্কার । যখনই কোন বিজ্ঞান সমুদয় বিভিন্নতার অন্তরালে অবস্থিত একত্ব আবিষ্কার করে, তখনই তাহা উচ্চতম সীমায় আরোহণ করে । অধ্যাত্মবিজ্ঞানের ন্যায় জড়বিজ্ঞানেও ইহা সত্য । থেতড়ি হইতে প্রায় সকল শিয়া ও সঙ্গীকে বিদায় দিয়া একজনমাত্র শিষ্ণুকে সঙ্গে লইয়া স্বামীজী পুনরায় জযপুবে প্রত্যাগমন করিলেন । রাজাজীও সঙ্গে গেলেন । রাজাজীর সভাপতিত্বে স্থানীয় এক দেবালযে স্বামীজীব এক বক্তৃত হইল। প্রায় ৫০০ শ্রোত বক্তৃতায় উপস্থিত ছিলেন । জয়পুব হইতে বহির্গত হইয়৷ স্বামীজী যোধপুর, আজমীর, খাণ্ডেয় প্রভৃতি স্থান হইয়া কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিলেন । ইংলণ্ডে ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রভাব ১৮৯৮ খু: ১১ই মার্চ স্বামীজীব শিয়া ভগিনী নিবেদিতা ( মিস এম. ই নোেবল ) কলকাতার স্টার থিয়েটারে ইংলণ্ডে ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রভাব সম্বন্ধে এক বক্তৃতা দেন। স্বামীজী সভাপতি হইয়াছিলেন । তিনি প্রথমেই উঠিয়া সিষ্টার’কে সৰ্বসাধারণের নিকট পরিচয় করিয়া দিবার জষ্ঠ্য নিম্নলিখিত কথাগুলি বলেন : সন্ত্রান্ত মহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আমি যখন এশিয়ার পুর্বভাগে ভ্রমণ করিতেছিলাম, একটি বিষয়ে আমার দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হইয়াছিল। আমি দেখিলাম, ঐ-সকল স্থানে ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তা বিশেষভাবে প্রবেশ করিয়াছে । চীন ও জাপানী মন্দিরসমূহের প্রাচীরে কতকগুলি সুপরিচিত সংস্কৃত মন্ত্র লিখিত দেখিয়া আমি যে