পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&' a স্বামীজীর বাণী ও রচনা তারপর চাই মহাপুরুষসংশ্রয়—গুরুলাভ ; গুরুপরম্পরাক্রমে যে শক্তি আসিয়াছে, তাহারই সহিত নিজের সংযোগ-স্থাপন । তদ্ব্যতীত মুমুক্ষতা থাকিলেও কিছু হইবে না, অর্থাৎ তোমার গুরুকরণ আবস্তক । কাহাকে গুরু করিব ?—শ্রোত্রিয়োহবুজিনোহকামহতো যে! ব্রহ্মবিত্তম:।’ তিনি শাস্ত্রের স্বক্ষ রহস্ত জানেন— . পোথি পঢ়ি তোতা ভয়ো পণ্ডিত ভয়ো ন কোয় । ঢাই অক্ষর প্রেমসে পঢ়ে সো পণ্ডিত হোয় ॥ শুধু বই-পড়া পণ্ডিত হইলে চলিবে না। আজকাল থে-সে গুরু হইতে চায়। ভিক্ষুকও লক্ষ মুদ্রা দান করিতে চায় । ‘অবুজিন’—যিনি নিষ্পাপ ; ‘অকণমহত’—কেবল জীবের হিত ব্যতীত র্যাহার আর কোন অভিসন্ধি নাই, যিনি অহেতুক-দয়াসিন্ধু, যিনি কোন লাভের উদ্বেতে অথবা নাম-যশের জন্য উপদেশ দেন না, আর যিনি ব্রহ্মকে বিশেষ করিয়া জানেন, যিনি র্তাহাকে প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, যিনি র্তাহাকে ‘করত লামলকবং দর্শন করিয়াছেন ; তিনিই গুরু—র্তাহারই সহিত আধ্যাত্মিক যোগ স্থাপিত হইলে তবে ঈশ্বরলাভ, ঈশ্বরদশন সহজ হইবে । তারপর চাই অভ্যাস। ব্যাকুলই হও, আর গুরুই লাভ কর, অভ্যাস না করিলে, সাধন না করিলে কখন উপলব্ধি হইতে পারে না। এই কয়টি যখন দৃঢ় হইবে, তখনই ঈশ্বর প্রত্যক্ষ হইবেন । তাই বলি হে হিন্দুগণ, হে আৰ্যসন্তানগণ, তোমরা এই আদর্শ কখনও বিস্কৃত হইও না যে, হিন্দুর লক্ষ্য এই সংসারের বাহিরে যাওয়া—শুধু এই জগংকে ত্যাগ করিতে হইবে তাহ নয়, স্বর্গকেও ত্যাগ করিতে হইবে ; অন্দকে ত্যাগ করিতে হইবে শুধু তাহ নয়, ভালকেও ত্যাগ করিতে হইবে—এই সকলের পারে যাইতে হইবে । বিবেকচুড়ামণি, ৩৩