পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগতের কাছে ভারতের বাণী \סיף כ ৪১. পরা ও অপরা—দুই ধরনের বিষ্ঠাঁই দান করিতে হইবে। ৪২. জাতির আহবান—ত্যাগ এবং ত্যাগীর দল । ভূমিকা প্রতীচ্যের জনগণের উদ্দেশে আমার বাণী তেজোদীপ্ত। হে প্রিয় স্বদেশবাসিগণ ! তোমাদের প্রতি আমার বাণী বলিষ্ঠতর। প্রাচীন ভারতবর্ষের বাণী আমার সাধ্যাকুযায়ী আমি প্রতীচ্য জাতিসমূহের নিকট প্রচার করিবার চেষ্টা করিয়াছি। উহা ভাল হইয়াছে, কি মন্দ হইয়াছে, ভবিস্তুতে নিশ্চয়ই বুঝা যাইবে। কিন্তু সেই ভবিষ্যতের বলদৃপ্ত কণ্ঠের মৃদু অথচ নিশ্চিত বাণী স্পদিত হইতেছে, দিনে দিনে সেই ধ্বনি স্পষ্টতর হইতেছে—উহা বর্তমান ভারতের নিকট ভবিষ্যং ভারতের বাণী । নানা জাতির মধ্যে অনেক আশ্চর্ষ প্রথা ও বিধি, অনেক অদ্ভুত শক্তি ও ক্ষমতার বিকাশ লক্ষ্য করিবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছে । কিন্তু সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য এই যে, আচার-ব্যবহারের— সংস্কৃতি ও শক্তির আপাত-বৈচিত্রোর অন্তরালে একই মনুষ্যহীদয় একই ধরনের আনন্দ-বেদনা, সবলতা ও দুর্বলতা লইয়া স্পন্দিত হইতেছে। ভাল মন্দ সর্বত্রই আছে । উহাদের সামঞ্জস্য ও আশ্চর্যভাবে বিদ্যমান । কিন্তু সকলের উর্ধ্বে সর্বত্র সেই গৌরবদীপ্ত মানবাত্মা—তাহার নিজস্ব ভাষায় কথা বলিতে জানিলে সে কখনও কাহাকেও ভুল বুঝে না । প্রত্যেক জাতির মধ্যেই এমন নরনারী আছেন, যাহাদের জীবন মানবজাতির পক্ষে আশীৰ্বাদস্বরূপ। তাহারা সম্রাট অশোকের সেই বাণীর প্রমাণস্বরূপ—‘প্রত্যেক দেশেই ব্রাহ্মণ ও শ্রমণের বাস কবেন ।” যে পবিত্র ভালবাসার সহিত প্রতীচ্যের অধিবাসিগণ আমাকে গ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহা নিঃস্বার্থ হৃদয়েই সম্ভব, সে-দেশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ । কিন্তু এই মাতৃভূমির প্রতিই আমার সারা জীবনের আনুগত্য ; এবং আমাকে যদি সহস্রবার জন্মগ্রহণ করিতে হয়, তবে সেই সহস্র জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আমার স্বদেশবাসীর, হে আমার বন্ধুবৰ্গ—তোমাদেরই সেবায় ব্যয়িত হইবে । • আমার দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক যাহা কিন্ঠসল—সে-সবই তো আমি এই দেশের কাছে পাইয়াছি, এবং যদি আমি কোন ক্ষেত্রে সাফুল্য লাভ করিয়া