পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ο σ' স্বামীজীর বাণী ও রচনা ভালবাসি এবং জেনী আমাকে ভালবাসে—অতএব আমাদের এই বিবাহ করতে হবে”—এ-যুক্তির কোন সঙ্গত কারণ নেই। বালবিধবাদের শোচনীয় অবস্থার যে-চিত্র আঁকা হয়ে থাকে, তার সত্যতা অস্বীকার ক’রে তিনি বলেন যে, ভারতে সাধারণভাবে বিধবাদের বিস্তর প্রতিপত্তি, কারণ সে-দেশে সম্পত্তির বড় অংশ বিধবাদের করায়ত্ত । বস্বত: বিধবারা এমন একটা স্থান অধিকার ক’রে আছে যে, মেয়েরা এবং হয়তো পুরুষরাও পরজন্মে বিধবা' হবার জন্য সম্ভবতঃ প্রার্থনাও ক’রে থাকে! বালবিধবা বা যে-সব মেয়ে বিবাহের পূর্বেই মৃত বালকদের সঙ্গে বাগদত্ত, তাদের প্রতি করুণা-প্রদর্শন সাজতো তখনই, যদি বিবাহই জীবনের একমাত্র বা মূল উদেশ্ব হ’ত। কিন্তু হিন্দু চিন্তাধারা অনুসারে বিবাহ বরং একটি কর্তব্য, কোন বিশেষ অধিকার বা হযোগ নয় ; এবং বলবিধবাদের পুনবিবাহে অনধিকার বিশেষ একটা কষ্টকর ব্যাপার নয় । ভারত কি তমসাচ্ছন্ন দেশ ? ডেট্রয়েট শহরে একটি ভাষণের বিবরণী ১৮৯৪ খৃঃ ৫ই এপ্রিল তারিখের বেষ্টন ইভনিং ট্রান্সক্রিপ্ট নামক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় মন্তব্য সহ নিম্নে উদ্ধৃত হইতেছে : সম্প্রতি স্বামী বিবেকানন্দ ডেট্রয়েট শহরে আসিয়া বিপুল প্রভাব বিস্তার করিয়াছেন । সর্বশ্রেণীর নরনারী তাহার ভাষণ শুনিতে আসিত, বিশেষত: ধর্মযাজকগণ র্তাহার অভিমতের অকাট্য যুক্তিজাল দ্বারা অতিশয় আকৃষ্ট হইতেন। শ্রোতৃবর্গের সংখ্যা এত বেশী হইয়াছিল যে, একমাত্র স্থানীয় নাট্যশালাটিতেই তাহাদের স্থান সঙ্কুলান হইত। তিনি অতি বিশুদ্ধ ইংরেজী বলেন, দেখিতে যেমন স্বপুরুষ, তাহার স্বভাবও তেমনই স্বন্দর । ডেট্রয়েট শহরের সংবাদপত্রগুলি র্তাহার বক্তৃতার বিবরণী প্রকাশ করিবার জন্য যথেষ্ট স্থান দিয়াছে। “ডেট্রয়েট ইভনিং নিউজ’ পত্রিকা একদিনের সম্পাদকীয় মস্তব্যে বলেন : বেশির ভাগ লোকই মনে করিবেন যে, গত সন্ধ্যায় নাট্যশালায় প্রদত্ত বক্তৃতায় স্বামী বিবেকানন্দ এই নগরে প্রদত্ত অন্য বক্তৃত অপেক্ষ অনেক অধিক দক্ষতা