পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 » २ স্বামীজীর বাণী ও রচনা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেন । স্বামী বিবেকানন্দের নিকট উক্ত প্রথম প্রশ্নটি অত্যন্ত হাস্যকর এবং উত্তর-দানের অযোগ্য বলিয়াই মনে হইয়াছে। । ঘপন কতিপয় সদাশয় অথচ অজ্ঞ ব্যক্তির নিকট হইতে তিনি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হন, কি কারণে কেবলমাত্র বালিকাদের কুমীরের মুখে সমৰ্পণ করা হয় ?—তখন তিনি বিদ্রুপ করিয়৷ উত্তর দেন, বোধ হয় তাহারা অধিকতর নরম ও কোমল বলিয়া, এবং সেই তমসাচ্ছন্ন দেশের জলাশয়সমূহের অধিবাসিগণ দস্তদ্বারা সহজেই তাহাদের চর্বণ করিতে পারিবে বলিয়া এইরূপ করা হয় ।” у * জগন্নাথ-সম্পর্কিত গল্প সঙ্গন্ধে বক্তা জগন্নাথ-পুরীর পবিত্র নগরের প্রাচীন রথযাত্রা-উংসব বর্ণনা করিয়। এই মন্তব্য করেন যে, সম্ভবতঃ রথের রজ্জ্ব ধরিবার ও টানিবার আগ্রহাতিশধ্যে কিছুসংখ্যক পুণ্যকামী ব্যক্তি পা পিছলাইয়া পড়িয়া গিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া থাকিবে । এই ধরনের কিছু দুর্ঘটনা অতিরঞ্জিত হইয় এমন বিকৃত আকার ধারণ করিয়াছে যে, অন্যান্য দেশের সহৃদয় ব্যক্তিগণ তাহা শ্রবণ করিয়া আতঙ্কে শিহরিয় উঠেন । বিধবাদের অগ্নিদগ্ধ করিয়া হত্যা করিবার কথা বিবেকানন্দ অস্বীকার করেন, এবং সত্য তথ্য উদঘাটিত করিয়া বলেন, হিন্দু বিধবাগণ অগ্নিতে আত্মাহুতি দিতেন স্বেচ্ছায় । * যে অল্পসংখ্যক ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটিয়াছে, সেখানে মহাপ্রাণ ব্যক্তিরা, র্যাহারা সর্বকালে আত্মহত্যার বিরোধী, র্তাহারা বিধবাদের উক্ত কার্য হইতে বিরত হইবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করিয়াছেন ; এরং যে-সকল ক্ষেত্রে সাধবী বিধবাগণ লোকান্তরে স্বামীর সহগামী হইবার জন্য ঐকান্তিক আগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাদেরই এই অগ্নিপরীক্ষা দিতে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে। অর্থাং যদি তাহারা হস্ত-দুষ্টখানি অগ্নিতে সমর্পণ করিয়া দগ্ধ করিতে পারিতেন, তাহা হইলে তাহদের ঐকান্তিক বাসনা-পুরণে আর কোন বাধা দেওয়া হইত না। কিন্তু ভারতই একমাত্র দেশ নয়, যেখানে নারী প্রেমবশতঃ স্বামীর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তাহার অনুগমন করিয়া অমরলোকে গমন করিয়াছেন। এরূপ ক্ষেত্রে পৃথিবীর সকলদেশেই কিছু নারী প্রাণবিসর্জন করিয়াছে। যে-কোন দেশেই এই ধরনের আবেগ বিরল, এবং ভারতবর্ষেও ইহা অন্যান্য দেশের মতোই নিত্যকার সাধারণ ব্যাপার নয়। "