পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত কি তমসাচ্ছন্ন দেশ ? 8》○ বক্তা পুনরাবৃত্তি করিয়া বলেন, ভারতবাসীরা নারীগণকে অগ্নিদগ্ধ করিয়া হত্যা করেন না, এবং তাহারা কখনও ডাইনী হত্যা করেন নাই। . বক্তার শেষোক্ত শ্লেষটি অতি তীব্র । এই হিন্দু সন্ন্যাসীর দার্শনিক মতবাদ বিশ্লেষণের কোন প্রয়োজন এথানে নাই, শুধু এইটুকু বলিলেই হইবে যে, ইহার সাধারণ ভিত্তি হইল –অনস্তের উপলব্ধির জন্য আত্মার যে-প্রয়াস তাহারই উপর । একজম পণ্ডিত হিন্দু এ-বৎসর লাওয়েল ইনস্ট্রিট্যটের পাঠক্রমের উদ্বোধন করেন . শ্ৰীযুক্ত মজুমদার যাহার স্বচনা করিয়াছিলেন, ভ্রাতা বিবেকানন্দ যোগ্যতার সহিত তাহারই উপসংহার করিলেন । এই নূতন পর্যটকের ব্যক্তিত্ব অধিক আকর্ষণীয়, যদিও হিন্দু দর্শনের মতাতুযায়ী ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয় । ধর্ম-মহাসম্মেলনের উদ্যোক্তাগণ বিবেকানন্দকে কার্যসূচীর শেষের দিকে রাখিতেন, যাহতে শ্রোতাগণ র্তাহার ভাষণ শুনিবার জন্য অধিবেশনের শেষ পর্যস্ত বসিয় থাকেন । বিশেষ করিয়া কোন গরম দিনে যখন কোন বক্ত। দীর্ঘ নীরস বক্তৃতা আরস্ত করিতেন, এবং শ্রোতাগণ দলে দলে সভাস্থল পরিত্যাগ করিয়া যাইতেন, তখন সম্মেলনের সভাপতি উঠিয়া ঘোষণা করিয়া দিতেন, সমাপ্তিস্থচক স্বস্তিবাচনের পুর্বে স্বামী বিবেকানন্দ সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিবেন ; তখনই শ্রোতার শাস্ত হইত । চার সহস্র , নরনারী অসহ গরমে পাখা ব্যজন করিতে করিতে স্মিতমুখে ও সাগ্রহে বিবেকানন্দ্বের পনরো মিনিট বক্তৃতা শুনিবার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপর বক্তাদের বক্তৃতা-কালে অপেক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিতেন। সভাপতি সর্বাপেক্ষ উত্তম বস্তুটিকে শেষে পরিবেশন করিবার পুরাতন রীতি সম্বন্ধে অভিজ্ঞ ছিলেন ।