পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o: 8 >br স্বামীজীর বাণী ও রচনা # ধর্মান্তরিত হয়েছিল। তাদের সম্মুখে ইট বিকল্প ছিল, হয় ধর্মান্তর-গ্রহণ, নয় মৃত্যু-এই তো! যতই গর্ব কর, মুসলমানদের থেকে তোমরা কি ভাল করতে পারো ? “আমরাই একমাত্র শ্রেষ্ঠ ! কেন ? কারণ আমরা অপরকে হত্যা করতে পারি। আরবরা তাই বলেছিল, তারাও ঐ বড়াই করেছিল, কোথায় তারা আজ ? আজও তারা বেদুইন ! রোমানরাও ঐ কথা ব’লত, কোথায় তারা ? - 'শাস্তিস্থাপনকারীরাই ধন্য, তারাই পৃথিবী ভোগ করবে। আর ঐ সব অহঙ্কারের নীতি হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবে। ওগুলি বালির ওপর নির্মিত । বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। স্বার্থপরতার ভিত্তির ওপর যা কিছু রচিত, প্রতিযোগিতা যার প্রধান সহায়, ভোগ যার লক্ষ্য, আজ নয় কাল তার ধ্বংস হবেই। এ জিনিস মরবেই। ভ্রাতৃবৃন্দ, যদি বঁাচতে চাও, যদি চাও তোমাদের জাতি বেঁচে থাকুক, তবে বলি শোন—খ্রষ্টের কাছে ফিরে যাও । তোমরা খ্ৰীষ্টান নও ; জাতি-হিসাবে তোমরা খ্ৰীষ্টান নও। ফিরে চল খ্ৰীষ্টের কাছে । ফিরে চল র্তার কাছে—যার মাথা গোঁজবার জায়গাটুকুও ছিল না, পাখিদের বাসা আছে, পশুদেরও গর্ত আছে, কিন্তু মানব-পুত্রের ( যীশুর ) এমন একটি জায়গা ছিল না—যেখানে তিনি মাথা রেখে বিশ্রাম করেন ৷’ তোমাদের ধর্ম প্রচারিত হচ্ছে বিলাসের নামে। কি দুৰ্দৈব ! উলটে ফেলো এ নীতি, যদি ধাচতে চাও ! ( ধর্মব্যাপারে ) এ দেশে যা কিছু শুনেছি, সব কপটতা । যদি এই জাতি বাঁচতে চায়, তবে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। ঈশ্বর এবং ধন-দেবতা (ম্যামন )-কে একই সঙ্গে সেবা করতে পারবে না।’ এই সব সম্পদ—সব খ্ৰীষ্ট থেকে ? খ্ৰীষ্ট এ-সব অশাস্ত্রীয় কথা অস্বীকার করতেন। ধন-দৌলত থেকে যে সম্পদ উন্নতি আসে, তা অনিত্য—ক্ষণস্থায়ী ! প্রকৃত নিত্যত্ব রয়েছে ঈশ্বরে ! যদি পারে। এই দুটি—এই সম্পদের সঙ্গে খ্ৰীষ্টের আদর্শ-মেলাতে, তবে খুবই ভাল। যদি না পারে, তবে বরং সম্পদ ছেড়ে দাও, খ্রষ্টের কাছেই ফিরে চল। খ্ৰীষ্টশূন্য প্রাসাদে বাস করা অপেক্ষা ছেঁড়া কম্বল গায়ে দিয়ে খ্রষ্টের সঙ্গে বাস করার জন্য প্রস্তুত হও ।