পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:bሎ স্বামীজীর বাণী ও রচনা বর্ণগুলি প্রত্যেকে স্বতন্ত্র, মিশুক নয় ; অর্থাৎ এক বর্ণ অন্য বর্ণের সহিত সামাজিকভাবে মিলিবে, কিন্তু একত্র পানাহার করিবে না বা পরস্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে না । এই সব ব্যাপারে তাহারা স্বতন্ত্র। পরম্পক্সের সহিত আলাপ এবং বন্ধুত্ব থাকিতে পারে, কিন্তু এই পর্যন্তই । ধর্মপ্রচারক বলিয়া অন্যান্য পুরুষ অপেক্ষ সাধারণভাবে ভারতীয় নারীকে জানিবার বেশী সুযোগ আমাদেরই ! ধর্মপ্রচারককে একস্থান হইতে অন্ত স্থানে নিরস্তর ভ্রমণ করিতে হয়, ফলে সমাজের সকল স্তরের সহিত র্তাহার সংযোগ । উত্তর-ভারতেও মহিলারা পুরুষদের সম্মুখে বাহির হন না, সেখানেও ধর্মের জন্য র্তাহারা বহুক্ষেত্রে এই নিয়ম ভঙ্গ করেন এবং আমাদের প্রবচন শুনিতে ও আমাদের সহিত ধর্মালোচনা করিতে কাছে আসেন। ভারতীয় নারী-সম্বন্ধে আমি সব কিছুই জানি, এরূপ বলা আমার পক্ষে বিপজ্জনক । সুতরাং আমি আপনাদের সম্মুখে আদর্শটি উপস্থাপিত করিবার চেষ্টা করিব। প্রত্যেক জাতির পুরুষ বা স্ত্রীর ভিতরে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে একটি অাদর্শের রূপায়ণ ঘটে । ব্যষ্টি একটি অাদশের বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম। জাতি এই সব ব্যষ্টির সমষ্টিমাত্র, এবং জাতিও একটি মহান আদর্শের প্রতীক । ঐ আদশের উদ্দেশ্বেই জাতি অগ্রসর হইতেছে । সুতরাং ইহা যথার্থ বলিয়া মানিয়া লইতে হইবে যে, একটি জাতিকে বুঝিতে হইলে প্রথমে ঐ জাতির আদর্শকে অবশ্যই বুঝিতে হইবে। কারণ প্রত্যেক জাতির একটি নিজস্ব মাপকাঠি আছে এবং সেইটি ছাড়া অন্য কিছুর দ্বারা উহার মান নির্ণয় করা সম্ভব नग्न ! সর্বপ্রকার উন্নতি, অগ্রগতি, কল্যাণ কিংবা অবনতি—সবই আপেক্ষিক। ইহা একটি নির্দিষ্ট মানকে স্থচিত করে ; কোন মানুষকে বুঝিতে হইলে পুর্ণত্ব সম্বন্ধে তাহার স্বকীয় মানের পরিপ্রেক্ষিতে তাহাকে বুঝিতে হইবে। জাতিগত জীবনে এইটি স্পষ্টতরভাবে দেখিতে পাইবেন । এক জাতি যাহা ভাল বলিয়া মনে করে, অন্য জাতি তাহা ভাল নাও বলিতে পারে। আপনাদের দেশে জ্ঞাতি-ভাইবোনের মধ্যে বিবাহ খুবই সঙ্গত, কিন্তু ভারতে ঐরুপ বিবাহ আইন-বিরুদ্ধ। শুধু তাই নয়, উহাকে অতি ভয়ানক নিষিদ্ধ যৌনসংসর্গ মনে করা হয়। এ দেশে বিধবা-বিবাহ সম্পূর্ণ ন্যান্থসঙ্গত। ভারতে উচ্চবর্ণের নারীর দুইবার বিবাহ চরম মর্যাদাহানিকর। অতএব দেখিতেছেন,