পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের নারী B\రిసె নাই। ঈশ্বর, তোমাদের মঙ্গল করুন। অক্সফোর্ড ষ্ট্রটের একদিনের একটি ঘটমা মনে পড়িতেছে। তখন বেলা দশটা হইবে, শত সহস্ৰ মহিলা বাজার করিতেছেন । এই সময়ে একজন ভদ্রলোক, বোধ হয় তিনি মার্কিন, চারিদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিয়া উঠিলেন, ‘হায় ভগবান! ইহাদের মধ্যে কয়জন স্বামী পাইবে ? সেইজন্য ভারতীয় মন বিধবাদিগকে বলে, ‘ভাল কথা, তোমাদের তোস্থযোগ মিলিয়াছিল, তোমাদের দুর্ভাগ্যের জন্য সত্যই আমরা খুবই দুঃখিত ; কিন্তু আমরা নিরুপায়। আরও অনেকে যে (বিবাহের জন্ত ) অপেক্ষা করিয়া রহিয়াছে। অতঃপর এই সমস্যার সমাধানে ধর্মের প্রসঙ্গ আসিয়া পড়ে ; হিন্দুধর্ম একটি সাম্ভুনার ভাব লইয়াই আসে। কারণ আমাদের ধর্ম শিক্ষা দেয়, বিবাহ একটা মন্দ কাজ, ইহা শুধু দুর্বলের জন্য। আধ্যাত্মিক সংস্কারসম্পন্ন নারী বা পুরুষ আদৌ বিবাহ করেন না। সুতরাং ধর্মপরায়ণ৷ নারী বলেন, ঈশ্বর আমাকে ভাল স্বযোগই দিয়াছেন, স্বতরাং আমার আর বিবাহের প্রয়োজন কি ? ভগবানের নাম করিব, র্তাহার পুজা করিব।” মানুষকে ভালবাসিয়া কি লাভ ? অবশ্য ইহা সত্য যে, সকলেই ভগবানে মন দিতে পারে না । কাহারও কাহারও পক্ষে ইহা একেবারেই অসম্ভব । তাহদের দুঃখ ভোগ করিতেই হইবে । কিন্তু তাহদের জন্য অপর বেচারীরা কষ্ট পাইতে পারে না । আমি সমস্যাটিকে আপনাদের বিচারের উপর ছাড়িয়া দিলাম । কিন্তু আপনার জানিয়া রাখুন, ইহাই হইল ভারতীয় মনের চিন্তাধারা। অতঃপর নারীর দুহিতরূপে আসা যাক। ভারতীয় পরিবারে কন্যা একটি অতি কঠিন সমস্ত । কন্যা এবং বর্ণ-জাতি—এই দুইটি মিলিয়া হিন্দুকে সর্বস্বাস্ত করে, কারণ কন্যার বিবাহ একই বর্ণের ভিতর দিতেই হইবে, এবং বর্ণের তুিতরও আবার ঠিক একই প্রকার বংশমর্যাদার পাত্রের সহিত বিবাহ দিতে হইবে । সেইজন্য বেচারী পিতাকে কন্যার বিবাহের জন্য অনেক সময় ভিখারী হইয়। যাইতে হয়। পাত্রের পিতা পুত্রের জন্য বিরাট পণ দাবি করেন, এবং কন্যার পিতাকে কন্যার বর সংগ্ৰহ করিবার জন্য যথাসর্বস্ব বিক্রয় করিতে হয়। সেইজন্ত হিন্দুর জীবনে কন্যা যেন একটি কঠিন সমস্তা। মজার কথা ইংরেজীতে কন্যাকে বলা হয় ডিটর’, সংস্কৃতে উহার প্রতিশব্দ দুহিতা । ইহার বুৎপত্তিগত འས་ཝ་ এই যে প্রাচীনকালের পরিবারে কন্যারা গো দোহন করিতে অভ্যস্ত ছিল ।