পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মের সার্বভৌমিকতা 8意〉 সেই ‘অবচ্ছিন্ন অবচ্ছেদক’ জাল ছেদন করিয়া উখিত হইয়াছিলেন—ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য"। একবার মাত্র বঙ্গের আধ্যাত্মিক তন্দ্রা ভাঙিয়াছিল; কিছু দিনের জন্য উহা ভারতের অপরাপর প্রদেশের ধর্মজীবনের সহভাগী হইয়াছিল। একটু বিস্ময়ের বিষয় এই, শ্রীচৈতন্য একজন ভারতীর নিকট সন্ন্যাস লইয়াছিলেন, স্বতরাং ভারতী ছিলেন বটে, কিন্তু মাধবেন্দ্রপুরীর শিয় ঈশ্বরপুরীই প্রথম র্তাহার ধর্মপ্রতিভা জাগ্ৰত করিয়া দেন । বোধহয় বঙ্গদেশের আধ্যাত্মিকতা জাগাইতে পুরীসম্প্রদায় বিধাতা কর্তৃক নির্দিষ্ট । ভগবান শীরামকৃষ্ণ তোতাপুরীর নিকট সন্ন্যাস গ্রহণ করেন । শ্রীচৈতন্য ব্যাসসূত্রের যে ভাষা লিখেন, তাহা হয় নষ্ট হইয়াছে, না হয় এ পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই । তাহার শিষ্যের দাক্ষিণাত্যের মাধব-সম্প্রদায়ের সহিত যোগ দিলেন। ক্রমশ: রূপ সনাতন ও জীবগোস্বামী প্রভৃতি মহাপুরুষগণের আসন বাবাজীগণ অধিকার করিলেন । তাহাতে শ্রীচৈতন্তের মহান সম্প্রদায় ক্রমশঃ ধ্বংসাভিমূপে যাইতেছিল, কিন্তু আজকাল উহার পুনরুজ্জীবনের চিহ্ন দেখা যাইতেছে। আশা করি, শীঘ্রই উহা আপন লুপ্তগৌরব পুনরুদ্ধার করিবে । সমুদয় ভারতেই শ্রীচৈতন্যের প্রভাব লক্ষিত হয়। যেখানেই ভক্তিমাৰ্গ পরিজ্ঞাত, সেখানেই লোকে তাহার বিষয় সাদরে চর্চা করে ও র্তাহার পূজা করিয়া থাকে। আমার বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ আছে যে, সমুদয় বল্লভাচার্যসম্প্রদায় শ্রীচৈতন্য-প্রতিষ্ঠিত সম্প্রদায়ের সংশোধিত শাখা মাত্র । কিন্তু তাহার তৃথাকথিত বঙ্গীয় শিস্যগণ জানেন না, তাহার প্রভাব এখনও কিভাবে সমগ্র ভারতে সক্রিয় ! কি করিয়াই, বা জানিবেন ? শিষ্যগণ গদিয়ান হইয়াছেন, কিন্তু তিনি নগ্নপদে ভারতের দ্বারে দ্বারে প্রচার করিয়া ফিরিতেন, আচগুলিকে অহুনয় করিতেন, যাহাতে তাহারা ভগবানকে ভালবাসে। যে অদ্ভূত ও অশাস্ত্রীয় কুলগুরুপ্রথা বিশেষভাবে বঙ্গদেশেই প্রচলিত, তাহাও ভারতের অন্যান্য প্রদেশের ধর্মজীবন হইতে বঙ্গদেশের পৃথক্ থাকিবার আর একটি কারণ। সর্বপ্রধান কারণ এই যে, বঙ্গদেশ এখন পর্যন্ত ভারতীয় আধ্যাত্মিক, সাধনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ও ভাণ্ডারস্বরূপ মহান সন্ন্যাসি-সম্প্রদায়ের জীবন হইতে শক্তি’ লাভ করে নাই । ১ স্থারে ব্যবহৃত শস্থায় *২ শঙ্করাচার্ষ-প্রবর্তিত দশনামী সম্প্রদায়ের একটি