পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8意やか স্বামীজীর বাণী ও রচনা এই মতের ফলস্বরূপ প্রেরণার অতি উদার ও মহৎ ভাব আসিতেছে— ইহা শুধু বৈদিক ঋষিগণ বলিয়াছেন, তাহা নয় ; শুধু বিদুর, ধর্মর্যাধ ও অপরাপর প্রাচীন মহাপুরুষের ইহা বলিয়াছেন, তাহা নয়, কিন্তু সেদিন সেই দাদুপন্থী সম্প্রদায়ভুক্ত ত্যাগী নিশ্চলদাসও নিভীকভাবে তাহার ‘বিচারসাগর’ গ্রন্থে ঘোষণা করিয়াছেন : যো ব্রহ্মবিদ ওই ব্রহ্ম, তাকু বাণী বেদ । ংস্কৃত ঔর ভাষামে করত ভ্রমকি ছেদ ॥ —যিনি ব্রহ্মবিং, তিনিই ব্রহ্ম , তাহার বাক্যই বেদ । সংস্কৃত, অথবা দেশীয় যে-কোন ভাষায় তিনি বলুন না কেন, তাহাতেই লোকের অজ্ঞান দূর হয় । অতএব দ্বৈতবাদ অনুসারে ঈশ্ববকে লাভ করা এবং অদ্বৈতবাদমতে ব্ৰহ্মভাবাপন্ন হওয়াই বেদের সমুদয় উপদেশের লক্ষ্য, এবং অন্য যাহ। কিছু শিক্ষা বেদে আছে, তাহ সেই লক্ষ্যে পৌছিবার সোপামমাত্র । ভগবান ভাৰ্যকার শঙ্করাচার্যের এই মহিম যে, তিনি নিজ প্রতিভাবলে ব্যাসের ভাবগুলি অপূর্বভাবে বিবৃত করিয়াছেন। নিরপেক্ষ সত্য হিসাবে ব্রহ্মই একমাত্র সত্য ; আপেক্ষিক সত্য হিসাবে এই ব্রহ্মের বিভিন্ন প্রকাশের উপর প্রতিষ্ঠিত ভারতে বা ভারতের বাহিরে সকল ধর্মসম্প্রদায়ই সত্য ! তবে কোন কোনটি অপরগুলি অপেক্ষ উচ্চতর, এই মাত্র । মনে কর, কোন ব্যক্তি বরাবর সূর্যাভিমুখে যাত্র করিল। প্রতি পদক্ষেপে সে স্বর্যের নূতন নূতন দৃশু দেখিবে। যতদিন না সে প্রকৃত সূর্যের নিকট পৌছিতেছে, ততদিন তাহার কাছে সূর্যের আকার দৃগু ও বর্ণ প্রতিমুহূর্তে নূতন হইতে থাকিবে । প্রথমে সূর্যকে সে একটি বৃহৎ গোলকের ন্যায় দেখিয়াছিল । তারপর উহার আকৃতি ক্রমশঃ বড় হইতেছিল। প্রকৃত স্বর্য বাস্তবিক কখন তাহার প্রথমদুষ্ট গোলকের মতো বা পরে দৃষ্ট স্বৰ্যসমূহের মতো নয় । তথাপি ইহা কি সত্য নয় যে, সেই যাত্রী বরাবর সুর্যই দেখিতেছিল, সূর্য র্যতীত অন্য কিছুই দেখে নাই ? এইরূপে সমুদয় সম্প্রদায়ই সত্য ; কোনটি প্রকৃত স্বর্যের নিকটে, কোনটি বা দূরে ! সেই প্রকৃত স্বৰ্যই আমাদের একমেবাদ্বিতীয়ম্। ১ মহাভারত, বনপৰ্ব ,