পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 স্বামীজীর বাণী ও রচনা ংশ আমাদের নিকট হইতে গ্রহণ করিয়াছে, আর যে-সকল ধর্মে আত্মার অমরত্ব সম্বন্ধে জ্ঞান পরিস্ফুট, তাহারাও মুখ্য বা গৌণভাবে উহা আমাদের নিকট হইতেই গ্রহণ করিয়াছে । 德 উনবিংশ শতাব্দীর শেযভাগে দুর্বলের উপর প্রবলের যেরূপ অত্যাচার দস্থ্যতা জুলুম প্রভৃতি হইতেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনও এরূপ হয় নাই । সকলেই জানেন, বাসনা-জয় না করিলে মুক্তি নাই। "যে প্রকৃতির দাস, সে কখনও মুক্ত হইতে পারে না । পৃথিবীর সব জাতিই এখন এই মহাসত্য বুঝিয়া উহার আদর করিতে শিখিতেছে। শিস্য যখন এই সত্য ধারণা করিবার উপযুক্ত হয়, তখনই তাহার উপর গুরুর কৃপা হয় । ভগবান অনন্ত কাল সকল ধর্মের লোকদের প্রতি প্রভূত দয়া প্রকাশ করিয়া তাহদের জন্য সাহায্য প্রেরণ করিতেছেন। আমাদের প্রভু সকল ধর্মেরই ঈশ্বর—এই উদার ভুবি কেবল ভারতেই বর্তমান । পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এরূপ উদার ভাব দেখাও তো ! . বিধির বিধানে আমরা হিন্দুগণ বড় সঙ্কটময় ও দায়িত্বপূর্ণ অবস্থায় পড়িয়াছি। পাশ্চাত্য জাতিগুলি আমাদের নিকট আপ্যাত্মিক সহায়তার জন্য আসিতেছে। ভারতসন্তানগণের এখন কর্তব্য – সমগ্র পৃথিবীকে মানব-জীবনের সমস্তাগুলির প্রকৃষ্ট সমাধান শিক্ষা দিবার জন্য নিজদিগকে উপযুক্ত ভাবে গড়িয়| তোলা । ভারতবাসীরা সমগ্র পুথিবীকে ধর্ম শিখাইতে ন্যায়ত: বাধ্য। .একটি বিযয় আমরা গৌরবের সহিত স্মরণ করিতে পারি । অন্যান্য দেশের শ্রেষ্ঠ ও বড় লোকের পার্বত্যদুৰ্গনিবাসী, পথিকের সর্বস্বলুণ্ঠনকারী দস্থ্য ব্যারনগণ হইতে তাহাদের বংশাবলীর উৎপত্তি হইয়াছে—এইরূপ দেখাইতে পারিলে বড় আনন্দ ও গৌরব অহুভব করেন। আমরা হিন্দুগণ কিন্তু পর্বতগুহ্যনিবাসী ফলমূলাহারী ব্ৰহ্মধ্যানপরায়ণ মুনিঋযির বংশধর বলিয়। নিজেদের পরিচয় দিতে গৌরব অনুভব করি। আমরা এখন অবনত ও হীন হইয় পড়িতে পারি, কিন্তু যদি আমাদের ধর্মের জন্য আমরা প্রাণ পণ করি, তবে আবার আমরা মহৎপদবীতে উন্নীত হইতে পারিব । আপনারা আমাকেৰে আন্তরিকতার সহিত অভ্যর্থনা করিয়াছেন, সেজন্য আমার হৃদয়ের ধন্যবাদ গ্রহণ করুন। রামনাদের রাজা আমার প্রতি ঘেভালবাসা দেখাইয়াছেন, সেজন্য আমি যে তাহার নিকট কত কৃতজ্ঞ, তাহা ভাষায় প্রকাশ করিতে অক্ষম । যদি আমাম্বারা কিছু সংকার্য হইয়া থাকে,