পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৬২

পরমকুডি অভিনন্দনের উত্তর 8@ —প্রাচীন অচিাৱ-প্রথাগুলি সব যেন ধূলিসাং হইয়া যাইতেছে, সব আশা-ভরসা নষ্ট হইয়া যাইতেছে, সবই যেন শিথিল হইয়া যাইতেছে ! পৃথিবীতে দুই প্রকার বিভিন্ন ভিত্তির উপর সামাজিক জীবন প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্ট হইয়াছে : এক—ধর্মভিত্তির উপর ; আর এক—সামাজিক প্রয়োজনের উপর। একুটির ভিত্তি—আধ্যাত্মিকতা, অপরটির-জড়বাদ ; একটির ভিত্তি —অতীন্দ্ৰিয়বাদ, অপরটির প্রত্যক্ষবাদ। একটি এই ক্ষুদ্র জড়জগতের সীমাব বাহিরে দৃষ্টিপাত করে এবং এমন কি, অপরটির সহিত কোন সংস্রব না রাখিয় কেবল আধ্যাত্মিক ভাব লইয়াই জীবন যাপন করিতে সাহসী হয় ; অপরটি নিজের চতুষ্পার্থে যাহা দেখিতে পায়, তাহার উপর জীবনের ভিত্তি স্থাপন করিয়াই তৃপ্ত ; সে আশা করে, ইহারই উপর সে জীবনের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করিতে কৃতকার্য হইবে । আশ্চর্যের বিষয়, কখন কখন অধ্যাত্মবাদ প্রবল হয়, তাহার পরই আবার জড়বাদ প্রাধান্য লাভ করে, যেন তরঙ্গের গতিতে একটির পর আর একটি অসিয়! থাকে এক দেশেই আবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকারের তরঙ্গ দেথিতে পাওয়া যায় । এক সময়ে জড়বাদ পুর্ণপ্রতাপে রাজত্ব করিতে থাকে—ধন-ঐশ্বর্যই গৌরবের অধিকারী হয় ; যে-শিক্ষায় অপিক অন্নাগমের উপায় হয়, যাহাতে অধিক মুখলাভের উপায় হয়, তাহারই আদর হইতে থাকে। ক্রমে এই অবস্থা হইতে আবার অৰনতি আরম্ভ হয়। সৌভাগ্যসম্পদ হইলেই মানবজাতির অন্তর্নিহিত ঈর্ষাদ্ব্যেও প্রবল আকার ধারণ করে –পরস্পর প্রতিযোগিতা ও ঘোর নিষ্ঠুরতাই যেন তখন যুগধর্ম হইয় পড়ে। 'চাচ আপন বাচা’—ইহাই তখন সকলের মূলমন্ত্র হইয়া পড়ে। এই অবস্থা কিছুদিন চলিবার পর মানুষ চিন্তা করিতে থাকে-জীবনের সমগ্র পরিকল্পনাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত। ধর্ম সহায় না হইলে, "জড়বাদের গভীর আবর্তে ক্রমশঃ-মজ্জমান পৃথিবীর সাহায্যে ধর্ম অগ্রসর ন৷ হইলে ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। তখন মানুষ মৃতন আশায় সঞ্জীবিত হইয়া নব অনুরাগে মৃতন ভাবে নূতন গৃহ প্রস্তুত করিবার জন্য নূতন ভিত্তির পত্তন করে। তখন ধর্মের আর এক বন্যা আসে। কালে আবার উহারও অবনতি হয় । , প্রক্টতির অব্যর্থ নিয়মে ধর্মের অভু্যখানের সঙ্গে সঙ্গে এমন একদল লোকের অভু্যদয় হয়, যাহারা পার্থিব ব্যাপারে বিশেষ ক্ষমতার একচেটিয়া দাবি করে। ইহার অব্যবহিত ফল—পুনরায় জড়বাদের দিকে প্রতিক্রিয়া। জড়বাদের t-6 - 翰