পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So a স্বামীজীর বাণী ও রচনা প্রকাশ করিয়াছ, সেজন্য তোমাদিগকে আস্তরিক ধন্যবাদ দিয়াই আমাকে সন্তুষ্ট থাকিতে হইবে ; আর অন্যান্য বিষয় ভবিষ্কৃতের জন্য রাখিতে হইবে। স্বাস্থ্য অপেক্ষাকৃত ভাল হইলে এবং আর একটু অবকাশ পাইলে আমাদের অন্যান্য বিষয় আলোচনা করিবার সুবিধা হইবে । আজ এই অল্প সময়ের মধ্যে সব কথা বলিবার সুযোগ হইবে না। একটি কথা বিশেষভাবে আমার মনে উদিত হইতেছে । আমি এখন মাদুরায় তোমাদের স্বদেশবাসী স্বনামখ্যাত উদারচেত। রামনাদাধিপের অতিথি । তোমরা বোধ হয় অনেকেই জানো, উক্ত রাজাই আমার মাথায় চিকাগো-সভায় যাইবার ভাব প্রবেশ করাইয়া দেন এবং বরাবরই যতদূর সম্ভব আমাকে সাহায্য করিয়াছেন। স্বতরাং অভিনন্দন-পত্রে আমাকে যে-সকল প্রশংসা করা হইয়াছে, অধিকাংশই দাক্ষিণাত্যবাসী এই মহাপুরুষের প্রাপ্য । কেবল আমার মনে হয়, তিনি রাজা না হইয়। সন্ন্যাসী হইলে আরও ভাল হইত , ফারণ তিনি সন্ন্যাসেরই উপযুক্ত । & যখনই পৃথিবীর অংশবিশেষে কোন কিছুর আবশ্বক হয়, তখনই তাহা এক অংশ হইতে অপরাংশে গিয়া সেখানে নূতন জীবন প্রদান করে। কি ভৌতিক, কি আধ্যাত্মিক—উভয় রাজ্যেই ইহা সত্য । যদি জগতের কোন অংশে ধর্মের অভাব হয় এবং অপর কোথাও সেই ধর্ম থাকে, তবে আমরা জ্ঞাতসারে চেষ্টা করি বা না করি, যেখানে সেই ধর্মের অভাব সেখানে ধর্মস্রোত আপনা-আপনি প্রবাহিত হইয়া উভয় স্থানের সামঞ্জস্ত বিধান করিবে । মানবজাতির ইতিহাসে দেখিতে পাই—একবার নয়, দুইবার নয়, বার বার এই প্রাচীন ভারতকে যেন বিধাতার নিয়মে পৃথিবীকে ধর্মশিক্ষা দিতে হইয়াছে। দেখিতে পাই— যখনই কোন জাতির দিগ্বিজয় বা বাণিজ্যে প্রাধান্ত উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ একসূত্রে গ্রথিত হইয়াছে এবং যখনই এক জাতির অপর জাতিকে কিছু দিবার সুযোগ উপস্থিত হইয়াছে, তখনই প্রত্যেক জাতি অপর জাতিকে রাজনীতিক, সামাজিক বা আধ্যাত্মিক যাহার যাহা আছে, তাহাই দিয়াছে। ভারত সমগ্র পৃথিবীকে ধর্ম ও দর্শন শিখাইয়াছে। পারস্ত-সাম্রাজ্যের অভু্যখানের অনেক পুর্বেই ভারত পৃথিবীকে আপন আধ্যাত্মিক সম্পদ দান করিয়াছে। পারস্ত-সাম্রাজ্যের অভু্যদয়কালে আর একবার এই ঘটনা ঘটে । গ্রীকদিগের অভু্যদয়কালে তৃতীয়বার । আবার ইংরেজের প্রাধান্তকালে এই চতুর্থবীর সে বিধাতু-নির্দিষ্ট ব্রতপালনে নিযুক্ত হইতেছে। যেমন আমরা ইচ্ছা করি বা না