পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুম্ভকোণম বক্তৃত৷ ぐう○ নহে—সাক্ষাৎ উপলব্ধি, অতীন্দ্রিয় সত্যের সাক্ষাৎকার । উপনিষদ বলিয়াছেন, এরূপ ব্যক্তি সাধারণ মানবতুল্য নহেন, তিনি মন্ত্রভ্রষ্ট। ইহাই ঋষিত্ব। আর এই ঋষিত্বলাভ কোনরূপ দেশ কাল জাতি বা সম্প্রদায়ের উপর নির্ভর করে না । বাংস্তায়ন ঋষি বলিয়াছেন—সত্যের সাক্ষাৎকার করিতে হইবে, আর আমাদিগকে স্মরণ রাগ্নিতে হইবে যে, তোমাকে আমাকে—আমাদের সকলকেই ঋষি হইতে হইবে, অগাধ আত্মবিশ্বাস-সম্পন্ন হইতে হইবে ; আমরাই সমগ্র জগতে শক্তিসঞ্চার করিব | কারণ সব শক্তি আমাদের ভিতরে রহিয়াছে । আমাদিগকে ধর্ম প্রত্যক্ষ করিতে হইবে, উপলব্ধি করিতে হইবে ; তবেই ধর্ম সম্বন্ধে আঁমাদের সকল সন্দেহ দূরীভূত হইবে ; তখনই ঋষিত্বের উজ্জ্বল জ্যোতিতে পূর্ণ হইয়। আমরা প্রত্যেকেই মহাপুরুষত্ব লাভ করিব । তখনই আমাদের মুখ হইতে যে বাণী নির্গত হইবে, তাহ অব্যর্থ অমোঘ ও শক্তিসম্পন্ন হইবে ; তখনই আমাদের সম্মুখ হইতে মন্দ যাহা কিছু, তাহ আপনিই পলায়ন করিবে, আর কাহাকেও নিন্দ বা অভিসম্পাত করিতে হইবে না, অথবা কাহারও সহিত বিরোধ করিতে হইবে না । এখানে আজ র্যাহারা রহিয়াছেন, তাহদের প্রত্যেককেই নিজের ও অপরের মুক্তির জন্য ঋষিত্ব লাভ করিতে শ্রীভগবান সাহায্য করুন । কুম্ভকোণম্ বক্তত মাদুর হইতে ত্ৰিচিনপল্লী ও তাঞ্জোব হইয়া স্বামীজী কুম্ভকোণম্ আসেন । সেখানে অভিনন্দনের উত্তবে বেদাস্ত সম্বন্ধে তিনি এক সুদীর্ঘ হৃদয়গ্রাহী বস্তৃতা করেন । নিয়ে তাহার বঙ্গানুবাদ প্রদত্ত হুইল । গীতনকার বলিয়াছেন : ‘স্বল্পমপ্যস্ত ধর্মস্ত ত্রায়তে মহতো ভয়াং’—অল্পমাত্রও ধর্ম-কর্ম করিলে তাহাতে অতি মহৎ ফল লাভ হয় । যদি এই বাক্যের সমর্থনের জন্য কোন উদাহরণের আবশ্যক হয়, তবে আমি বলিতে পারি, অামার ক্ষুদ্র জীবনে প্রতিপদে এই মহাবাক্যের সত্যত উপলব্ধি করিতেছি । হে কুম্ভকোণম-নিবাসী ভদ্রমহোদয়গণ, আমি অতি সামান্ত কাজ করিয়াছি ; কিন্তু কলম্বোয় নামিয়া অবধি এ পর্যন্ত যেখানেই গিয়াছি, সেখানেই যেরূপ 兹一戟