পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম-রহস্ত . 钞> করিয়া বাও, কিন্তু সন্তানদের প্রতি তোমার বেরূপ ভাব উহুদের প্রভিও সেই ভাব অবলম্বম কর, উচ্ছ্বাদের নিকট হইতে প্রতিদামস্বরূপ কিছু আশ। করিও না। যদি সর্বদা দাতার ভাব অবলম্বন করিতে পারে, প্রত্যুপকারের কোম আশা না রাখিয়া জগৎকে শুধু দিয়া যাইতে পারে, তবেই সেই কর্ম হইতে তোমার কোন বন্ধন বা আসক্তি আলিবে না। যখন জাম্বর কিছু প্রত্যাশা করি, তখনই আসক্তি আসে। যদি ক্রীতদাসের মতো কাজ করিলে তাহাতে স্বার্থপরতা ও আসক্তি আসে, তাহা হইলে প্রভূর ভাবে কাজ করিলে তাহাতে অনাসক্তিজনিত আনন্দ আদিয়া থাকে। আমরা অনেক সময় স্যায়ধর্ম ও নিজ নিজ অধিকারের কথ। বলিয়া থাকি, কিন্তু দেখিতে পাই—এ-সংসারে ঐগুলি শিশুসুলভ বাক্যমাত্র। দুইটি ভাব মানুষের চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করিয়া থাকে—ক্ষমতা ও দয়া। ক্ষমতাপ্রয়োগ চিরকালই স্বার্থপরতা দ্বারা চালিত হয়। সকল নরনারীই—তাহীদের শক্তি ও জুবিধা যতটা আছে, তাহার যতটা পারে তাহ প্রয়োগ করিতে চেষ্ট৷ করে। দয়া স্বৰ্গীয় বস্তু ; ভাল হইতে গেলে আমাদের সকলকেই দয়াৰান হইতে হইবে। এমন কি ন্যায়বিচার এবং অধিকারবোধ দয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। কর্মের ফলাকাঙ্ক্ষাই আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতিবন্ধক ; শুধু তাই নয়, পরিণামে উহা দুঃখের কারণ হয়। আর এক উপায় আছে, যাহা দ্বারা এই দয়া ও নিঃস্বার্থপরতা কার্ষে পরিণত করা যাইতে পারে ; যদি আমরা সগুণ ব্যক্তিভাবাপন্ন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তবে কর্মকে ‘উপাসনা’ বলিয়া চিন্তা করিতে হইবে। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সমুদয় কর্মফল ভগবানে অর্পণ করিয়া থাকি। এইরূপে র্তাহাকে উপাসনা করিলে আমাদের কর্মের জন্ত মানবজাতির নিকট কিছু প্রত্যাশা করিবার অধিকার আমাদের নাই। প্ৰভু স্বয়ং সর্বদা কর্ম করিতেছেন এবং তাহার আসক্তি নাই। জল যেমন পদ্মপত্র ভিজাইতে পারে না, ফলে আসক্তি উৎপন্ন করিয়া কর্ম তেমনি নিঃস্বাৰ্থ ব্যক্তিকে বদ্ধ করিতে পারে না। অহং-শূন্ত ও অনাসক্ত ব্যক্তি জনপূর্ণ ও পাপসফুল শহরের অভ্যন্তরে বাস করিতে পারেন, তাহাতে তিনি *ां८° जिश्तुं श्हे८तन्न मां । এই সম্পূর্ণ স্বাৰ্থত্যাগের ভাবটি এই গল্পটিতে ব্যাখ্যাত হইয়াছে ঃ কুরুক্ষেত্রযুদ্ধের অবসানে পঞ্চপাণ্ডৰ এক মহাযজ্ঞ কৰিয়া দক্ষিত্রদিগকে নানাবিধ