পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ১৩৫ এমন সব নরনারী উৎপন্ন করিবে, যাহারা জীবনে ঐ চিস্তাগুলিকে কার্ধে পরিণত করিবে। পূর্বোক্ত সাৰিক ব্যক্তিগণ ভগবানের এত নিকটে অবস্থান করেন যে, তাহীদের পক্ষে সংগ্রাম-মুখর কর্ম করিয়া জগতে পরোপকার, ধর্মপ্রচার প্রভৃতি কর্ম করা সম্ভব নয়। কর্মীরা যতই ভাল হউন না কেন, ऊँiशं८मब्र ब८था किछू बी किछू अखांम थांकिब्र बांग्न । षष्ठकन नईख्ठ আমাদের স্বভাবে একটু মলিনতা অবশিষ্ট থাকে, ততক্ষণই আমরা কর্ম করিতে পারি—কর্মের প্রকৃতিই এই যে, সাধারণতঃ উহ। অভিসন্ধি ও আসক্তি দ্বারা চালিত হয়। সদাক্রিয়াশীল বিধাতা চড়াই-পাখিটির পতন পর্যন্ত লক্ষ্য করিতেছেন ; তাহার সমক্ষে মানুষ তাহার নিজ কার্ধের উপর এতটা গুরুত্ব আরোপ করে কেন ? তিনি যখন জগতের ক্ষুদ্রতম প্রাণীটির পর্যন্ত খবর রাখিতেছেন, তখন ঐক্কপ করা কি একপ্রকার ঈশ্বরনিন্দ নয় ? আমাদের শুধু কর্তব্য সশ্রদ্ধ বিস্ময়ে তাহার সমক্ষে দণ্ডায়মান হইয়। বলা, তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হউক । সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের কর্ম করিতে পারেন না, কারণ তাহাদের মনে কোন আসক্তি নাই । ‘যিনি আত্মাতেই আনন্দ করেন, আত্মাতেই তৃপ্ত, আত্মাতেই সন্তুষ্ট, তাহার কোন কার্য নাই।” ইহারাই মানবজাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ, ইহার কার্য করিতে পারেন না, তা-ছাড়া প্রত্যেককেই কার্য করিতে হইবে। এইরূপ কাৰ্ধ করিবার সময় আমাদের কখনও মনে করা উচিত নয় যে, জগতের অতি ক্ষুদ্র প্রাণীকেও কিছু সাহায্য করিতে পারি ; তাহা আমরা পারি না। এই জগৎব্রুপ শিক্ষালয়ে পরোপকারের দ্বারা আমরা নিজেরাই নিজেদের উপকার করিয়া থাকি। কর্ম করিবার সময় এইরূপ ভাব অবলম্বন করাই কর্তব্য । যদি আমরা এইভাবে কার্ব করি, যদি আমরা সর্বদাই মনে রাখি যে, কর্ম করিতে স্থযোগ পাওয়া আমাদের পক্ষে মহা সৌভাগ্যের বিষয়, তবে আমরা কখনও উহাতে আসক্ত হইব না। তোমার আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ মনে করে, এ জগতে আমরা সব মস্ত লোক, কিন্তু আমরা সকলেই মরিয়া যাই, তারপর পাচ মিনিটে জগৎ আমাদের ভুলিয়া যায়। কিন্তু ঈশ্বরের জীবন অনন্ত—'কো হোবান্তাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ । যদেষ আকাশ ר גןl, eס\ x