পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

8 चांशैशैब वांगै ७ ब्रध्मा ब्रैौडिबैौडि बTांनां८द्र अनउिछ हिटलन । यथन डिमि मिकिठछांद्दष जांनिध्लम যে, এই কার্বে তিনি ঈশ্বরাদেশ লাভ করিয়াছেন, তখন স্বামীজী কোন ৰাধাই মানিলেন না। যথারীতি বিজ্ঞপ্তি ও পরিচয়পত্রাদি ব্যতিরেকেই হিন্দুধর্মের প্রতিনিধি জগতের সমৃদ্ধি ও শক্তির স্বরক্ষিত স্বারে প্রবেশ করিলেন—এই ঘটনা অপেক্ষ হিন্দুধর্মের সংঘবদ্ধহীনতা অন্ত কোন উপায়ে স্পষ্টতরভাবে প্রমাণিত হইতে পারিত না । চিকাগোতে উপস্থিত হইয়া স্বামীজী প্রকৃত ব্যাপার বুঝিতে পারিলেন। প্রেরিত ও গৃহীত আমন্ত্রণ অনুসারে কোন পরিচিত ও স্বীকৃত সংস্থা তাহাকে প্রেরণ করে নাই। অধিকন্তু প্রতিনিধি-সংখ্যা বাড়ানোর সময়ও চলিয়া গিয়াছে, তালিকা পূর্বেই পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। ভারতে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে বস্টনে যদি কাহারও সহিত দৈবক্রমে পরিচয়ের কোন স্থযোগ ঘটিয়া যায়, এইরূপ ভাবিয়া কী গভীর নৈরাখেই না তঁহাকে চিকাগোর রুদ্ধদ্বার হইতে ফিরিতে হইয়াছিল । এইভাবে দূরদৃষ্টি বা নিজের কোন পরিকল্পনা ছাড়াই তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাইটের সহিত পরিচিত হইলেন। রাইট র্তাহার প্রতিভা উপলব্ধি করিলেন এবং মাত্রাজী শিষ্যগণের মতো তিনিও অহঙ্কক করিলেন যে, আগামী ধর্ম-মহাসম্মেলনে পৃথিবীকে এই ব্যক্তির বাণী শুনিতেই হইবে। পরে অধ্যাপক রাইট র্তাহাকে লিখিয়াছিলেন, “আপনার নিকট পরিচয়-পত্ৰ দেখিতে চাওয়া এবং স্বর্ধকে তাহার আলোকদানের অধিকার জিজ্ঞাসা করা একই কথা।’ এইরূপ প্রীতি ও প্রভাবের জন্যই স্বামীজীকে পুনরায় চিকাগোয় বাইতে হইয়াছিল এবং সেখানে স্বীকৃত প্রতিনিধির মর্যাদা ও আসন লাভের পথ উন্মুক্ত হইল। অধিবেশন আরম্ভ হইলে দেখ। গেল তিনি বক্তৃতামঞ্চে উপস্থিত। একমাত্র ভারতীয় বা একমাত্র বাঙালী ন হইলেও তিনিই ছিলেন যথার্থ হিন্দুধর্মের একমাত্র প্রতিনিধি। অন্যান্য সকলে সমিতি, সমাজ, সম্প্রদায় বা কোন ধর্মসংস্থার প্রতিনিধিরূপে আসিয়াছিলেন। একমাত্র স্বামীজীর বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল—হিন্দুদের আধ্যাত্মিক ভাবধারা ; এবং সেদিন তাহারই মাধ্যমে ঐ ভাবগুলি সর্বপ্রথম সংজ্ঞা ঐক্য ও রূপ লাভ করিয়াছিল। ভারতবর্ষের যে-ধর্মকে প্রথমে দক্ষিণেশ্বরে নিজগুরুর মধ্যে এবং পরে ভারতের সর্বত্র ভ্রমণকালে তিনি