পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8b" স্বামীজীর বাণী ও রচন। হইবে ? এই অনন্ত জ্ঞান ও অনস্ত শক্তি আমি এখনই লাভ করিব না কেন ? আত্মার উন্নতির বেগ বৃদ্ধি করিয়া কিরূপে অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিলাভ করা বাইতে পারে, ইহাই যোগবিজ্ঞানের লক্ষ্য ও উদ্বেগু । সকল মানুষ মুক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়া, একটু একটু অগ্রসর হওয়ার পরিবর্তে প্রকৃতির অনন্ত শক্তিভাগুর হইতে শক্তি গ্রহণ করিবার ক্ষমতা বৃদ্ধি করিয়া কিরূপে मैौञ्च निक्षिणांड कब्र यांग्न, ८षांशैब्री डांशंब्रहे ऐक्वेनांग्न फ़ेद्धांयन कब्रेिब्रां८इन । জগতের সকল মহাপুরুষ—সাধু ও সিদ্ধপুরুষ কি করিয়াছেন । এক জীবনেই তাহার। মানবজাতির সমগ্র জীবন যাপন করেন, সাধারণ মানুষের পূর্ণৰ লাভ করিতে যে দীর্ঘকাল লাগে, সেই কাল তাহার এই জীবনেই অতিক্রম করেন। এক জন্মেই র্তাহারা নিজেদের সিদ্ধ করিয়াছেন। তাহার। আর কিছুই চিন্তা করেন না, অন্য কোন ভাবের জন্য একমুহূর্ত সময় কাটান না। এইরূপেই তাহাদের সময় সংক্ষিপ্ত হয়। একাগ্রতা বলিতে বুঝায়—শক্তিসঞ্চয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি ; এইভাবেই সময় সংক্ষিপ্ত করা হয়। রাজযোগ-বিজ্ঞান আমাদের শিক্ষা দেয়, কিভাবে এই একাগ্রতা-শক্তি লাভ করা যায় । প্রাণায়ামের সহিত প্রেভতত্ত্বের সম্বন্ধ কি ? প্রেততত্ত্ব প্রাণায়ামেরই এক প্রকার শক্তি-বিকাশ । যদি ইহা সত্য হয় যে, পরলোকগত আত্মার অস্তিত্ব আছে, আমরা শুধু উহাদিগকে দেখিতে পাই না, তাহা হইলে ইহাও খুব সম্ভব যে, এখানেই হয়তো শত শত লক্ষ লক্ষ আত্মা রহিয়াছে, যাহাদিগকে আমরা দেখিতে, অনুভব করিতে বা স্পর্শ করিতে পারি না। আমরা হয়তো সর্বদাই তাহীদের শরীরের মধ্য দিয়া যাতায়াত করিতেছি । আর ইহাও খুবই.সম্ভব যে, তাহারাও আমাদিগকে দেখিতে বা কোনরূপে অনুভব করিতে পারে না। ইহা—একটি বৃত্তের ভিতর আর আর একটি বৃত্ত, একটি জগতের ভিতর আর একটি জগৎ । যাহারা এক ভূমিতে ( Plane ) থাকে, তাহারাই পরম্পরকে দেখিতে পায়। আমরা পঞ্চেন্দ্ৰিয়-বিশিষ্ট প্রাণী, আমাদের প্রাণের স্পন্দন এক বিশেষ স্তরের। যাহাদের প্রাণের স্পন্দন একই প্রকারের, তাহারাই পরস্পরকে দেখিতে পাইবে । কিন্তু যদি এমন কোন প্রাণী থাকে, যাহাদের প্রাণ অপেক্ষাকৃত উচ্চস্পন্দনশীল, তাহাদিগকে আমরা দেখিতে পাইব না। আলোকের তীব্রতা অতিশয় বধিত হইলে আমরা