পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Øፃ ● স্বামীজীর বাণী ও রচনা কায়েজিয়সিদ্ধিরশুদ্ধিক্ষয়াত্তপসঃ ॥ ৪৩ ॥ —অশুদ্ধি-ক্ষয়-নিবন্ধন তপস্যা হইতে দেহ ও ইন্দ্রিয়ের নানাপ্রকার শক্তি আসে । তপস্তার ফল কখন কখন সহসা দূরদর্শন, দূরশ্রবণ ইত্যাদি রূপে প্রকাশ পায় । স্বাধ্যায়াদিষ্টদেবতাসম্প্রয়োগঃ ॥ ৪৪ ॥ —মন্ত্রাদির পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ বা অভ্যাস দ্বারা ইষ্টদেবতার দর্শন লাভ হইয়া থাকে। যে পরিমাণে উচ্চ প্রাণী ( দেবতা, ঋষি, সিদ্ধ) দেখিবার ইচ্ছা করিবে, সাধনাও সেই পরিমাণে কঠোর করিতে হইবে । সমাধিসিদ্ধিরীশ্বরপ্রণিধানাৎ ॥ ৪৫ ॥ —ঈশ্বরে সমুদয় অর্পণ করিলে সমাধিলাভ হইয়া থাকে। ঈশ্বরে নির্ভরের দ্বারা সমাধি ঠিক পূর্ণ হয়। স্থিরমুখমাসনম্ ॥ ৪৬ ৷ —যেভাবে অনেকক্ষণ স্থিরভাবে সুখে বসিয়া থাকা যায়, তাহার নাম আসন । এখন আসনের কথা বলা হইবে। যতক্ষণ তুমি স্থিরভাবে অনেকক্ষণ বসিয়া থাকিতে না পারিতেছ, ততক্ষণ তুমি প্রাণায়াম ও অন্যান্য সাধনে কিছুতেই কৃতকার্য হইবে না। আসন দৃঢ় হওয়ার অর্থ এই ষে, তুমি শরীরের অস্তিত্ব মোটেই অনুভব করিবে না। এইরূপ হইলেই বাস্তবিক আসন দৃঢ় হইয়াছে, বলা যায়। কিন্তু সাধারণভাবে তুমি যদি কিয়ৎক্ষণের জন্য বসিতে চেষ্টা কর, শরীরে নানাপ্রকার বাধাবিঘ্ন আলিতে থাকিবে । কিন্তু যখনই তুমি এই স্থূলদেহভাব অতিক্রম করিবে, তখন শরীরবোধ হারাইয়া ফেলিবে। তখন আর তুমি মুখ বা দুঃখ কিছুই অনুভব করিবে না। আবার যখন তোমার শরীরের জ্ঞান ফিরিয়া আসিবে, তখন অনুভব করিবে, যেন অনেকক্ষণ বিশ্রাম করিয়াছ। যদি শরীরকে পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া সম্ভব হয়, তবে উহা এইরূপেই হইতে পারে। যখন তুমি এইরূপে শরীরকে জয় করিয়া উহাকে দৃঢ় রাখিতে