পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা "לרס\ পূর্ব তিনটি স্বত্রে যে চিত্তের নিরোধাদি পরিণামের কথা বলা হইয়াছে, তদ্বারা ভূত ও ইন্দ্রিয়ের ধর্ম, লক্ষণ ও অবস্থা-রূপ তিন প্রকার পরিণামের ব্যাখ্যা করা হইল। মন ক্রমাগত বৃত্তিরূপে পরিণত হইতেছে, ইহা মনের ‘ধর্মরূপ’ পরিণাম । উহা যে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিন কালের মধ্য দিয়া চলিতেছে, ইহাই মনের লক্ষণরূপ’ পরিণাম ; আর কখনও যে নিরোধসংস্কার প্রবল ও বুখান-সংস্কার দুর্বল অথবা তাহার বিপরীত হয়, ইহা মনের ‘অবস্থারূপ’ পরিণাম। মনের এই পরিণাম-ত্রয়ের ন্যায় ভূত ও ইন্দ্রিয়ের ত্রিবিধ পরিণামও বুঝিতে হইবে। যথা, মৃত্তিকারূপ ধর্মীর পিওরূপ ধর্ম গিয়া উহাতে যে ঘটাকার ধর্ম আবিভূর্ত হয়, তাহ ধৰ্ম-পরিণাম । ঐ ঘটের বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ অবস্থারূপ পরিণামকে লক্ষণ-পরিণাম এবং উহার নূতনত্ব ও পুরাতনত্বাদি অবস্থারূপ পরিণামকে অবস্থা-পরিণাম বলে। পূর্ব পূর্ব স্থত্রে যে-সকল সমাধির বিষয় কথিত হইয়াছে, তাহদের উদ্দেশু, যোগী যাহাতে মনের বৃত্তি বা পরিণামগুলির উপর ইচ্ছাপূর্বক ক্ষমতা সঞ্চালন করিতে পারেন। তাহা হইতে পূর্বোক্ত সংযমশক্তি লাভ হইয়া থাকে। শান্তোদিভাব্যপদেশ্বধর্মানুপাতী ধৰ্মী ॥ ১৪ ॥ —শাস্ত (অর্থাৎ অতীত), উদিত (বর্তমান) ও অব্যপদেশু ( ভবিষ্যৎ) ধর্ম যাহাতে অবস্থিত, তাহার নাম ধর্মী । ধর্মী তাহাকেই বলে, যাহার উপর কাল ও সংস্কার কার্য করিতেছে, যাহা সর্বদাই পরিণামপ্রাপ্ত ও ব্যক্তভাব ধারণ করিতেছে। ক্রমান্যত্বং পরিণামান্তত্বে হেতু ॥ ১৫ ॥ —ভিন্ন ভিন্ন পরিণাম হইবার কারণ ক্রমের বিভিন্নত। ( পূর্বাপর পার্থক্য )। পরিণমত্রয়সংযমাদভীতানাগভজ্ঞানম্ ॥ ১৬ ॥ —পূর্বোক্ত তিনটি পরিণামের প্রতি চিত্তসংযম করিলে অতীত ও অনাগতের জ্ঞান উৎপন্ন হয়। পূর্বে সংযমের ষে লক্ষণ দেওয়া হইয়াছে, আমরা তাহ যেন বিশ্বত না হই। যখন মন বস্তুর বাহভাগ পরিত্যাগ করিয়া উহার আভ্যন্তরীণ ভাব