পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶԵՀ স্বামীজীর বাণী ও রচনা সময় তাহার মৃত্যু হইবে, তাহাও তিনি জানিতে পারেন। মৃত্যু ষে সর্বদ আসন্ন—এইটি জানা হিন্দুরা বিশেষ প্রয়োজনীয় মনে করেন, কারণ গীতায় এই শিক্ষা দেওয়া হইয়াছে যে, মৃত্যুচিন্তা পরজীবন নিয়মিত করিবার পক্ষে বিশেষ শক্তিশালী । মৈত্র্যাদিষু বলানি ॥ ২৪ ॥ —মৈত্রী করুণা ইত্যাদি (১৩৩) গুণগুলির উপর সংযম প্রয়োগ করিলে যোগী ঐ গুণগুলি প্রকর্ষতা লাভ করে। বলেষু হস্তিবলাদীনি ॥২৫ ॥ —হস্তী প্রভৃতির বলের উপর সংযম প্রয়োগ করিলে যোগীর শরীৰে সেই সেই প্রাণীর তুল্য বল আসে। যখন যোগী এই সংযমশক্তি লাভ করেন, তখন তিনি যদি বল লাভ করিতে ইচ্ছা করেন এবং হস্তীর বলের উপর সংযম প্রয়োগ করেন, তবে তাহাই লাভ করিয়া থাকেন। প্রত্যেক ব্যক্তির ভিতরেই অনন্ত শক্তি রহিয়াছে, সে যদি উপায় জানে, তবে ঐ শক্তি লইয়া ইচ্ছামত ব্যবহার করিতে পারে। যোগী উহা লাভ করিবার বিজ্ঞান আবিষ্কার করিয়াছেন। প্রবৃত্ত্যালোকন্যাসাৎ সূক্ষব্যবহিতবিপ্রকৃষ্টজ্ঞানম্ ॥২৬। —(পূর্বকথিত ) মহা-জ্যোতির (১৩৬) উপর সংযম করিলে সূক্ষ্ম ব্যবহিত ও দূরবর্তী বস্তুর জ্ঞান হইয়া থাকে। হৃদয়ে যে মহা-জ্যোতি: আছে, তাহার উপর সংযম করিলে অতি দূরবর্তী বস্তুও তিনি দেখিতে পান। যাদ কোন বস্তু পাহাড়ের আড়ালে থাকে, তাহ এবং অতি সূক্ষ্ম স্বক্ষ বস্তু ও তিনি দেখিতে পারেন। ভুবনজ্ঞানং সূর্যে সংযমাৎ ॥২৭ ॥ —সূর্যে সংযমের দ্বারা সমগ্র জগতের জ্ঞানলাভ হয় । চন্দ্রে তারাবুহিজ্ঞানম্ ॥২৮ ॥ —চন্দ্রে সংযম করিলে তারকাসমূহের জ্ঞানলাভ হয়।