পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা ولا 8 8 ‘ধ্যান’ অর্থে—ঐ চিন্তাকে নিরস্তর একভাবে প্রবাহিত করা ‘তত্র প্রত্যয়ৈক তানত ধ্যানম—( বিভূতিপাদ, ২ )। ‘সমাধি’—ইহা যোগের শেষ অঙ্গ, ইহার অর্থ যখন ধ্যান করিতে করিতে মনের এমন এক অবস্থা হয়, যে উহা ধ্যেয়ের বাহোপাধি পরিত্যাগ করিয়া কেবল অর্থমাত্র প্রকাশ করে—“তদেব অর্থমাত্রনির্ভাসং স্বরূপশূন্যমেব সমাধি:-( বিভূতিপাদ, ৩)। স্বামীজী আরও সরল করিয়া বলিয়াছেন : যদি মনকে কোনস্থানে ১২ সেকেণ্ড ধারণ করা যায়, তাহাতে একটি "ধারণা হইবে , এই ধারণ দ্বাদশ গুণ হইলে ( ১২ x ১২ = ১৪৪ সেঃ – ২মিঃ ২৪ সে: ) একটি ‘ধ্যান’, এবং এই ধ্যান দ্বাদশ গুণ ( ২ মিঃ ২৪ সেঃ × ১২ = প্রায় অর্ধঘণ্টা ) হইলে এক ‘সমাধি’ হইবে । ( ‘সংক্ষেপে রাজযোগ’ অধ্যায় দ্রষ্টব্য । ) সমাধি সাধারণতঃ দুই প্রকার—সম্প্রজ্ঞাত ও অসম্প্রজ্ঞাত । সম্প্রজ্ঞাত ; যখন মন অন্যান্য বিষয়চিস্তা হইতে বিরত হইয়া প্রকৃতি ও উহা হইতে উৎপন্ন তত্ত্বগুলির—(মোট চতুৰ্বিংশতি তত্ত্বের ) স্থল বা সূক্ষ্ম কোনটির বিষয়ে একাগ্র হইতে পারে, তখন তাহাকে সম্প্রজ্ঞাত সমাধি বলে । অসম্প্রজ্ঞাত : মন যখন চেতনস্বরূপ পুরুষে একাগ্র হয়, তখন উহাকে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি বলে । এই ‘সম্প্রজ্ঞাত সমাধি’ আবার সাধারণতঃ চারিপ্রকার—(১) সবিতর্ক (২) নির্বিতর্ক (৩) সবিচার ও (৪) নির্বিচার। সবিতর্ক : যখন ক্ষিতি,অপ,তেজ, মরুং ব্যোম্—পঞ্চ মহাভূতকে দেশ ও কালের ভিতরে চিস্তা করিয়া উহার কোনটিতে মন স্থির হয়, তখন তাহাকে ‘সবিতর্ক সমাধি’ বলে । ( স্বামীজী উহ। এইরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন ঃ ‘বিতর্ক' অর্থ প্রশ্ন, ‘পবিতর্ক' অর্থ প্রশ্নের সহিত, যাহাতে ভূতসমূহ উহাদের অন্তর্গত সত্য ও উহাদের সমুদয় শক্তি ঐরুপ ধ্যানপরায়ণ পুরুষকে প্রদান করে। ) নির্বিতর্ক : যখন ঐ ভূতগুলিকে দেশ ও কাল হইতে পৃথক্ করিয়া উহাদের স্বরূপ চিন্তা করা যায়। সবিচার : যখন ধ্যেয়বস্তু আর স্থল ভূত নহে, উহাদের স্বল্পাংশ বা তন্মাত্র—