পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা এই প্রকার সাহাষ্য আবশুক । যাহাদের পক্ষে ইহা আবশ্বক নয়, তাহাদেব বলিবার কিছুমাত্র অধিকার নাই যে, ইহা অন্যায়।) আর একটি বিষয় বলা আমাব অবগু কৰ্তব্য। ভারতবর্ষে মূর্তিপূজা বলিলে ভয়াবহ একটা কিছু বুঝায় না। ইহা দুষ্কর্মের প্রস্থতি নয়, বরং ইহা অপরিণত মন কর্তৃক উচ্চ আধ্যাত্মিক ভাব ধারণা করিবার চেষ্টাস্বরূপ হিন্দুদেরও অনেক দোষ আছে, অনেক বৈশিষ্ট্যও আছে ; কিন্তু লক্ষ্য করিও, র্তাহার। সর্বাবস্থায় নিজেদের দেহপীডনই করে, প্রতিবেশীর অনিষ্ট করে না। কোন ধর্মোন্মাদ হিন্দু-চিতায় স্বীয দেহ দগ্ধ করিলেও ধর্মগত অপরাধের প্রতিবিধান করিবার জন্য কখনও অগ্নি প্ৰজলিত করে না ; ইহাকে যদি তাহার দুর্বলতা বলে, সে দোষ তাহার ধর্মের নয়, যেমন ডাইনী পোড়ানোব দোষ খ্ৰীষ্টধর্মের উপর দেওয়া যায় না। অতএব হিন্দুর পক্ষে সমগ্র ধর্ষজগৎ নানারুচিবিশিষ্ট নরনারীর নানা অবস্থা ও পরিবেশের মধ্য দিয়া সেই এক লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া ব্যতীত আর কিছুই নয। প্রত্যেক ধর্মই জডভাবাপন্ন মানুষের চৈতন্য-স্বরূপ—দেবত্ব বিকশিত করে, এবং সেই এক চৈতন্য-স্বরূপ ঈশ্বরই সকল ধর্মের প্রেরণাদাতা। তবে এত পরম্পরবিরোধী ভাব কেন ? হিন্দু বলেন—আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন প্রকৃতির মাহুষের উপযোগী হইবার জন্ত এক সত্যই এরূপ পরস্পর-বিরুদ্ধ ভাব ধারণ করে। একই আলোক ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের কাচের মধ্য দিয়া আসিতেছে। সকলের উপযোগী হইবে বলিয়া এই সামান্ত বিভিন্নতা প্রয়োজন। কিন্তু সবকিছুরই অস্তস্তলে সেই এক সত্য বিরাজমান। শ্ৰীকৃষ্ণুঞ্জগঞ্জ । সূত্র যেমন মণিগণের মধ্যে, আমিও সেইরূপ স * . . যাহা কিছু অতিশয় পবিত্র ও প্রভাবশালী, মানবজাতির উন্ন ক ও পাবনকারী, জানিবে—সেখানে আমি আছি।” এই শিক্ষার ফল কি ? আমি সাহস করিয়া বলিতেছি, সমুদয় সংস্কৃত দর্শনশাস্ত্রের মধ্যে এরূপ ভাব কেহ দেখাইতে পরিবে না যে, একমাত্র ছিন্দুই মুক্তির অধিকারী, আর কেহ নয়। ব্যাস বলিতেছেন, “আমাদের জাতি ও ধর্মমতের সীমানার বাহিরেও আমরা সিদ্ধপুরুষ দেখিতে পাই।’ 3. छूजनैौग्न गैडा , נ8ן • כ , רור