পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

船心 স্বামীজীর বাণী ও রচনা দিকে সমগ্র জগৎ আকর্ষণ করিতেছেন। ভাল-মন্দ, স্থখ-দুঃখ—সবই তাহ দিকে চলিয়াছে এবং তাহার চতুর্দিকে সংলগ্ন হইতেছে। তিনি ঐগুলির ম হইতে চরিত্র’-নামক মহাশক্তি গঠন করিয়া লইয়া উহাকে বহির্দেশে প্রক্ষে করিতেছেন। তঁহার যেমন ভিতরে গ্রহণ করিবার শক্তি আছে, সেইরূ বাহিরে প্রক্ষেপ করিবার শক্তিও আছে। { আমরা জগতে যতপ্রকার কার্ধ দেখিতে পাই, মহন্ত-সমাজে যতপ্রক আলোড়ন হইতেছে, আমাদের চতুর্দিকে যে-সকল কার্ধ হইতেছে, সবৈ চিস্তার প্রকাশমাত্র, মানুষের ইচ্ছার প্রকাশমাত্র। ছোট বড় যন্ত্ৰ, নগর, জাহাজ রণতরী—সবই মানুষের ইচ্ছার বিকাশমাত্র। এই ইচ্ছা চরিত্র হইতে উদ্ভূত চরিত্র আবার কর্মদ্বারা নির্মিত। ইচ্ছার প্রকাশ কর্মের অনুরূপ। প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন যে-সকল মানব জগতে জন্মিয়াছেন, তাহারা সকলে প্রচও কর্মী ছিলেন। তাহদের এত ইচ্ছাশক্তি ছিল যে, তাহারা জগৎকে ওলট-পালট করিয়া দিতে পারিতেন। ঐ শক্তি র্তাহার যুগযুগব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন কর্ম দ্বারা লাভ করিয়াছিলেন। বুদ্ধ বা ধীশুর মতো প্রবন ইচ্ছাশক্তি একজন্মে লাভ করা যায় না, আর উহাকে পুরুষানুক্রমিক *tfo-hotos (hereditary transmission) oil win Rl 5 wto আমরা জানি তাহদের পিতারা কিরূপ ছিলেন । র্তাহারা যে জগতের হিতের জন্য কখন কিছু বলিয়াছিলেন, তাহ জানা নাই। যোসেফের স্তায় লক্ষ লক্ষ সূত্রধর জীবন-লীলা সংবরণ করিয়াছে ; লক্ষ লক্ষ এখনও জীবিত আছে। বুদ্ধের পিতার স্থায় লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র রাজা জগতে ছিলেন। যদি ইহা কেবল পুরুষানুক্রমিক শক্তি-সঞ্চারের উদাহরণ হয়, তবে এই ক্ষুত্র সামান্য রাজা—যাহাকে হয়তে তাহার ভূত্যের পর্যন্ত মানিত না, তিনি কিরূপে এমন এক সস্তানের জনক হইলেন, যাহাকে জগতের অর্ধেক লোক উপাসনা করিতেছে ? স্বত্রধর ও তাহার সন্তান—যাহাকে লক্ষ লক্ষ লোক ঈশ্বর বলিয়া উপাসনা করিতেছে—এ দুয়ের মধ্যে ষে প্রভেদ, তাহাই বা কিরূপে ব্যাখ্যা করিবে ? বংশানুক্রমিক মতবাদ দ্বারা উহার ব্যাখ্যা হ্য না। বুদ্ধ ও যীশু জগতে যে মহাশক্তি সঞ্চার করিয়াছিলেন, তাহ কোথা হইতে আসিল ? এই শক্তিসমষ্টি কোথা হইতে আসিল ? অবঞ্চ উহ যুগযুগান্তর হইতে ঐ স্থানেই ছিল এবং ক্রমশঃ প্রবল হইতে প্রবলতর