পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাসন করিতে পারিৰে । অনেক পশু যেমন কয়েক পদ অগ্রে কি জাম্বে তাহার কিছুই জানিতে পারে না, আমাদের মধ্যে অনেকেই তেমনি অল্প কয়ে বৎসর পরে কি ঘটিবে, তাহার কিছুই অকুমান করিতে পারে না। জ্ঞ যেন একটি সঙ্কীর্ণ বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ—ইহাই আমাদের সমুদয় জগৎ । উৎ বাহিয়ে আর কিছুই দেখিবার ধৈর্ষ আমাদের নাই, এইভাবেই আম অসাধু ও ছবুক্ত হইয়া পড়ি। ইহাই আমাদের দুর্বলতা—শক্তিহীনতা। কিন্তু অতি সামান্ত কর্মকেও ঘৃণা করা উচিত নয়। ষে-ব্যক্তি উচ্চত উদ্দেশু্যে কাজ করিতে জানে না, সে স্বার্থপর উদ্দেশ্যেই—নামৰশের জন্তই কা করুক। প্রত্যেককে—সর্বদাই উচ্চ হইতে উচ্চতর উদ্দেস্যের দিকে অগ্রস হইতে হইবে, এবং ঐগুলি কি—তাহা বুঝিবার চেষ্টা করিতে হইবে। o অামাদের অধিকার, ফলে নয়’—ফল যাহা হইবার হউক। ফলের জন্ত চিৰ কর কেন ? কোন লোককে সাহায্য কবিবার সময় তোমার প্রতি সে ব্যক্তির মনোভাব কিরূপ হইবে, সে বিষয়ে চিন্তা করিও না। তুমি যদি কে মহৎ বা শুভ কার্য করিতে চাও, তবে ফলাফলের চিন্তা করিয়া উদ্বিগ্ন হইও না /কর্মের এই আদর্শ সম্বন্ধে আর একটি কঠিন সমস্ত আসিয়া পডে। তী কর্মশীলতার প্রয়োজন ; সর্বদাই আমাদের কর্ম করিতে হইবে, আমরা এর মিনিটও কর্ম না করিয়া থাকিতে পারি না। তবে বিশ্রাম কোথায় ? জীবন সংগ্রামের একদিকে কৰ্ম—যাহার ক্ষিপ্র আবর্তে আমরা বিঘূর্ণিত, আ। একদিকে সব ধীর স্থির ; সবই যেন নিবৃত্তি-উন্মুখ, চারিদিক শাস্তিময কোনরূপ শব্দ বা কোলাহল নাই, কেবল জীবজন্তু বৃক্ষপুষ্প পর্বতরাজি-সমধি প্রকৃতির শান্তিময় ছবি। এই দুটির কোনটিই সম্পূর্ণ চিত্র নয়। যেমন গভী সমুদ্রের মৎস্ত উপরে আসিবামাত্র খণ্ডবিখণ্ড হইয়া যায়—কারণ জলের প্রবন্ধ চাপেই উহা জীবিত অবস্থায় থাকিতে সমর্থ, তেমনি শান্তিপূর্ণ স্থানে বা করিতে অভ্যন্ত কোন ব্যক্তি সংসারের এই মহাবর্তের সংস্পর্শে আসিব মাত্র ধ্বংস হইয়া বাইবে। আবার যে-ব্যক্তি কেবল সাংসারিক ও সামাঞ্জি জীবনের_কে তাহলেই অভ্যন্ত,_লে কি-কেনি-নিস্তৃত স্থানে-স্বস্তিত্তে-বী করিতে পারে? যন্ত্রণায় হয়তো তাহার মস্তিত্ব বিস্তুত হইয়া বাইৰে জাদর্শ পুরুষ তিনিই, ধিনি গভীরতম নির্জনতা ও নিস্তব্ধতার মধ্যে তীব্র কর্ম