পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

切* স্বামীজীর বাণী ও রচনা বলিয়াই বোধ হয় ঐ অধ্যায় পাঠ করিয়া দেখি যে, অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান-দিগ্‌গজ তাহার মেথর, মেথরানী ও মেথরানীর জার-ঘটিত ঘটনা-বিশেষ বর্ণনা করিয়া স্বজাতিবৃন্দের দেশীয়-জীবন-রহস্য সম্বন্ধে উগ্র কৌতুহল চরিতার্থ করিতে বিশেষ প্রয়াসী এবং ঐ পুস্তকের অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান সমাজে সমাদর দেখিয়া লেখক যে সম্পূর্ণরূপে কৃতাৰ্থ, তাহাও বোধ হয়। শিবা বা সম্ভ পস্থান:-আর বলি কি ? তবে শ্ৰীভগবান বলিয়াছেন—‘সঙ্গং সঞ্জায়তে’ ইত্যাদি। যাক অপ্রাসঙ্গিক কথা ; তবে অধ্যাপক ম্যাক্সমুলারের আধুনিক ভারতবর্ষের, দেশ-দেশাস্তরের রীতিনীতি ও সাময়িক ঘটনাজ্ঞান দেখিলে আশ্চর্য হইতে হয়, ইহা অামাদের প্রত্যক্ষ । বিশেষতঃ ধৰ্ম সম্বন্ধে ভারতের কোথায় কি নুতন তরঙ্গ উঠিতেছে, অধ্যাপক সেগুলি তীক্ষ দৃষ্টিতে অবেক্ষণ করেন এবং পাশ্চাত্য জগৎ যাহাতে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্ত হয়, তাহারও বিশেষ চেষ্টা করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেন কর্তৃক পরিচালিত ব্রাহ্মসমাজ, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী-প্রতিষ্ঠিত আর্যসমাজ, থিয়সফি সম্প্রদায় অধ্যাপকের লেখনী-মুখে প্রশংশিত বা নিন্দিত হইয়াছে। স্বপ্রতিষ্ঠিত ‘ব্রহ্মবাদিন’ ও ‘প্রবুদ্ধ ভারত’-নামক পত্রদ্বয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের উক্তি ও উপদেশের প্রচার দেখিয়া এবং ব্রাহ্মধর্ম-প্রচারক বালু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার-লিখিত শ্রীরামকৃষ্ণের বৃত্তাস্তপাঠে রামকৃষ্ণ-জীবন তাহাকে আকর্ষণ করে । ইতিমধ্যে ‘ইণ্ডিয়া হাউসে’র লাইব্রেরিয়ান টনি মহোদয়লিখিত রামকৃষ্ণচরিতও ইংলণ্ডীয় প্রসিদ্ধ মাসিক পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। মান্দ্রাজ ও কলিকাতা হইতে অনেক বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়া অধ্যাপক ‘নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি' নামক ইংরাজী ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ মাসিক পত্রিকায় শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও উপদেশ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করেন । তাহাতে ব্যক্ত করিয়াছেন যে, বহু শতাব্দী যাবং পূর্বমনীষিগণের ও আধুনিক কালে পাশ্চাত্য বিদ্বদবর্গের প্রতিধ্বনিমাত্রকারী ভারতবর্ষে নৃতন ভাষায় নূতন মহাশক্তি পরিপূরিত করিয়া নূতন ভাবসম্পাতকারী নূতন মহাপুরুষ সহজেই তাহার চিত্তাকর্ষণ করিলেন। পূর্বতন ঋষি-মুনি-মহাপুরুষদিগের কথা তিনি শাস্ত্রপাঠে বিলক্ষণই অবগত ছিলেন ; তবে এ যুগে এ ভারতে—আবার তাহা হওয়া কি সম্ভব ? রামকৃষ্ণ জীবনী এ প্রশ্নের যেন মীমাংসা করিয়া দিল । আর ভারতগতপ্রাণ মহাত্মার > Asiatic Quarterly Review.