পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やさ স্বামীজীর বাণী ও রচনা বিভিন্ন ভক্ষ্যাভক্ষ্য-বিচারই আধুনিক কালের ন্যায় সর্বতোমুখী প্রভূত উপভোগ করিবে ? জাতিভেদ বিদ্যমান থাকিবে ?—গুণগত হইকে বা চিরকাল জন্মগত থাকিবে ? জাতিভেদে ভক্ষ্যসম্বন্ধে স্পৃষ্টা পৃষ্ট-বিচার বঙ্গদেশের ন্যায় থাকিবে, বা মান্দ্রাজাদির ন্যায় কঠোরতর রূপ ধারণ করিবে, অথবা পঞ্জাবাদি প্রদেশের ন্যায় একেবারে তিরোহিত হইয়া যাইবে ? বর্ণভেদে যৌন সম্বন্ধ মনৃক্ত ধর্মের ন্যায় এবং নেপালাদি দেশের ন্যায় অন্তলোমক্রমে পুনঃপ্রচলিত হইবে বা বঙ্গাদি দেশের ন্যায় একবর্ণ মধ্যে অবাস্তর বিভাগেও প্রতিবদ্ধ হইয়া অবস্থান করিবে ? এ সকল প্রশ্নের সিদ্ধান্ত করা অতীব দুরূহ। দেশভেদে, এমন কি, একই দেশে জাতি এবং বংশভেদে আচারের ঘোর বিভিন্নত দৃষ্টি মীমাংসা আরও দুরূহতর প্রতীত হইতেছে । তবে হইবে কি ? যাহা আমাদের নাই, বোধ হয় পূর্বকালেও ছিল না। যাহ। যবনদিগের ছিল, যাহার প্রাণম্পন্দনে ইউরোপীয় বিদ্যুদণধার হইতে ঘন ঘন মহাশক্তির সঞ্চার হইয়া ভূমণ্ডল পরিব্যপ্ত করিতেছে, চাই তাঁহাই। চাই—সেই উদ্যম, সেই স্বাধীনতাপ্রিয়তা, সেই আত্মনির্ভর, সেই অটল ধৈর্য, সেই কার্যকারিতা, সেই একতাবন্ধন, সেই উন্নতিতৃষ্ণ ; চাই—সর্বদ-পশ্চাদুষ্টি কিঞ্চিৎ স্থগিত করিয়া অনন্ত সম্মুখসম্প্রসারিত দৃষ্ট, আর চাই—আপাদমস্তক শিরায় শিরায় সঞ্চারকারী রজোগুণ । ত্যাগের অপেক্ষ শান্তিদাতা কে ? অনন্ত কল্যাণের তুলনায় ক্ষণিক ঐহিক কল্যাণ নিশ্চিত অতি তুচ্ছ । সত্ত্বগুণাপেক্ষ মহাশক্তিসঞ্চয় আর কিসে হয় ? অধ্যাত্মবিদ্যার তুলনায় আর সব ‘অবিদ্যা –সত্য বটে, কিন্তু কয়জন এ জগতে সত্ত্বগুণ লাভ করে,—এ ভারতে কয়জন ? সে মহাবীরত্ব কয়জনের আছে যে, নির্মম হইয়া সর্বত্যাগী হন ? সে দূরদৃষ্টি কয়জনের ভাগ্যে ঘটে, যাহতে পার্থিব মুখ তুচ্ছ বোধ হয় ? সে বিশাল হৃদয় কোথায়, যাহা সৌন্দর্য ও মহিমাচিস্তায় নিজ শরীর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় ? যাহারা আছেন, সমগ্র ভারতের লোকসংখ্যার তুলনায় তাহারা মুষ্টিমেয় – আর এই মুষ্টিমেয় লোকের ১ বৈবাহিক