পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানার্জন ব্ৰহ্মা—দেবতাদিগের প্রথম ও প্রধান–শিষ্যপরম্পরায় জ্ঞান প্রচার করিলেন ; উৎসপিণী ও অবসপিণী কালচক্রের মধ্যে কতিপয় মুলৌকিক সিদ্ধপুরুষ—জিনের প্রাদুর্ভাব হয়, ও তাহদের হইতে মানবসমাজে জ্ঞানের পুনঃপুনঃ স্ফ র্তি হয় ; সেই প্রকার বৌদ্ধমতে সর্বজ্ঞ বুদ্ধনামধেয় মহাপুরুষদিগের বারংবার আবির্ভাব ; পৌরাণিকদিগের অবতারের অবতরণ অধ্যাত্মিক প্রয়োজনে বিশেষরূপে, অন্যান্য নিমিত্ত-অবলম্বনেও ; মহামন স্পিতাম। জরতুষ্ট্র’ জ্ঞানদীপ্তি মর্ত্যলোকে আনয়ন করিলেন ; হজরত মুশ, ঈশা ও মহম্মদও তদ্বৎ অলৌকিক উপায়শালী হইয়া অলৌকিক পথে অলৌকিক জ্ঞান মানব-সমাজে প্রচার করিলেন । কয়েকজন মাত্র জিন হন, তাহা ছাড়া আর কাহারও জিম হইবার উপায় নাই, অনেকে মুক্ত হন মাত্র ; বুদ্ধনামক অবস্থা সকলেই প্রাপ্ত হইতে পারেন ; ব্ৰহ্মাদি পদবীমাত্র, জীবমাত্রেরই হইবার সস্তাবনা ; জরতুষ্ট, মুশ, ঈশ, মহম্মদ লোক-বিশেষ কার্য-বিশেষের জন্য অবতীর্ণ ; তদং পৌরাণিক অবতারগণ— সে আসনে অন্তের দৃষ্টিনিক্ষেপ বাতুলত। । ‘আদম ফল খাইয়া জ্ঞান পাইলেন, ‘কু’ ( Noah ) জিহোবাদেবের অল্পগ্রহে সামাজিক শিল্প শিথিলেন । ভুরতে সকল শিল্পের অধিষ্ঠাতা—দেবগণ বা সিদ্ধপুরুষ ; জুতা সেলাই হইতে চণ্ডীপাঠ পর্যন্ত সমস্তই অলৌকিক পুরুষদিগের রূপ। "গুরু বিন জ্ঞান নহি ; শিস্যপরম্পরায় ঐ জ্ঞানবল গুরু-মুপ হইতে না আসিলে, গুরুত্ব রূপ না হইলে আর উপায় নাই । t আবার দার্শনিকেরা–বৈদাস্তিকেরা বলেন, জ্ঞান মন্থয্যের স্বভাব-সিদ্ধ ধন —আত্মার প্রকৃতি ; এই মানবাত্মাই অনন্ত জ্ঞানের আধার, তাহাকে আবার কে শিখাইবে ? কুকর্মের দ্বারা ঐ জ্ঞানের উপর যে একটা আবরণ পড়িয়াছে, —তাহ। কাটিয়া যায় মাত্র । অথবা ঐ ‘স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান’ অনাচারের দ্বার। ১ উধ্বগামিনী ও অধোগামিনী । 3 Zoroaster & Zarabhustra, &?!oz Rog , f°Ro!q! (=& ) ইহার নাম, ইনি পারসীদিগের প্রাচীন গুরু ।