পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারি প্রদর্শনী É À অতএব এমনও সিদ্ধাস্ত হইতে পারে যে, শেক্সপীয়র সর্ববিষয়ে কালিদাসাদির নিকট ঋণী এবং সমগ্র পাশ্চাত্য সাহিত্য ভারতের সাহিত্যের ছায়া । শেষ—পণ্ডিত ম্যাকসমূলরের আপত্তি র্তাহারই উপর প্রয়োগ করিয়া ইহাও বলা যায় ফুে, যতক্ষণ ইহা না প্রমাণিত হয় যে, কোন হিন্দু কোনও কালে গ্রীক ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিল, ততক্ষণ ঐ গ্রীক প্রভাবের কথা মুখে আনাও উচিত নয়। তদ্বং আর্যভাস্কর্যে গ্রীক প্রাদুর্ভাব-দর্শনও ভ্রম মাত্র । স্বামীজী ইহাও বলেন যে, শ্ৰীকৃষ্ণারাধনা বুদ্ধাপেক্ষা অতি প্রাচীন এবং গীতা যদি মহাভারতের সমসাময়িক না হয়, তাহা হইলে তদপেক্ষাও প্রাচীননবীন কোনও মতে নহে। গীতার ভাষা মহাভারতের ভাষা এক। গীতায় যে-সকল বিশেষণ অধ্যাত্মসম্বন্ধে প্রয়োগ হইয়াছে, তাহার অনেকগুলিই বনাদি পর্বে বৈষয়িক সম্বন্ধে প্রযুক্ত। ঐ সকল, শব্দের প্রচুর প্রচার না হইলে এমন ঘটা অসম্ভব । পুনশ্চ-সমস্ত মহাভারতের মত আর গীতার মত একই এবং গীতা যখন তৎসাময়িক সমস্ত সম্প্রদায়েরই আলোচনা করিয়াছেন, তখন বৌদ্ধদের উল্লেখমাত্রও কেন করেন নাই ? বুদ্ধের পরবর্তী যে-কোন গ্রন্থে বিশেষ চেষ্টা করিয়াও বৌদ্ধোল্লেখ নিবারিত হইতেছে না । কথা, গল্প, ইতিহাস বা কটাক্ষের মধ্যে কোথাও না কোথাও বৌদ্ধমতের বা বুদ্ধের উল্লেখ প্রকাশু বা লুক্কায়িতভাবে রহিয়াছে— গীতার মধ্যে কে সে প্রকার দেখাইতে পারেন ? পুনশ্চ গীত ধর্মসমন্বয় গ্রন্থ, সে গ্রন্থে কোনও মড়ের অনাদর নাই, সে গ্রন্থকারের সাদর বচনে এক বৌদ্ধ মতই বা কেন বঞ্চিত হইলেন, ইহার কারণ-প্রদর্শনের ভার কাহার উপর ? উপেক্ষা–গীতায় কাহাকেও নাই । ভয় ?—তাহারও একান্ত অভাব । ষে ভগবান বেদপ্রচারক হইয়াও বৈদিক হঠকারিতার উপর কঠিন ভাষাপ্রয়োগেও কুষ্ঠিত নহেন, তাহার বৌদ্ধমতের আবার কি ভয় ? পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা যে প্রকার গ্রীক ভাষার এক এক গ্রন্থের উপর সমস্ত জীবন দেন, সেই প্রকার এক এক প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থের উপর জীবন উৎসর্গ করুন ; অনেক আলোক জগতে আসিবে। বিশেষত: এ মহাভারত ·