পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক لاري যেথায় আকণ্ঠ আহার ক’রে একঘটি জল খেলেই বস্—সব হজম, আবার থিদে, সেখানে শুামাচরণের প্রাতিভদৃষ্টি এই সকল প্রাকৃতিক বিরাট ও সুন্দর ভাব উপলব্ধি করেছে। তবে একটু গোল যে, ঐ পশ্চিম—বর্ধমান পর্যন্ত নাকি শুনতে পাই । তবে একান্তই তোমাদের উপরোধ, আর আমিও যে একেবারে ও রসে বঞ্চিত গোবিন্দদাস নহি, সেটা প্রমাণ করবার জন্য শ্ৰীদুৰ্গা স্মরণ করে আরম্ভ করি ; তোমরাও খোটাখুটি ছেড়ে দিয়ে শোনো ; নদীমুখ বা বন্দর হতে জাহাজ রাত্রে প্রায় ছাড়ে না,—বিশেষ কলকাতার ন্যায় বাণিজ্যবহুল বন্দর, আর গঙ্গার ন্যায় নদী। যতক্ষণ না জাহাজ সমুদ্রে পৌছায়, ততক্ষণই আড়কাটীর অধিকার ; তিনিই কাপ্তেন, তারই হুকুম ; সমুদ্রে বা আসবার সময় নদীমুখ হ’তে বন্দরে পৌছে দিয়ে তিনি খালাস । আমাদের গঙ্গার মুখে দুটি প্রধান ভয় : একটি বজবজের কাছে জেমস ও মেরী নামক চোরা বালি, দ্বিতীয়টি ডায়মণ্ড হারবারের মুখে চড়া। পুরো জোয়ারে, দিনের বেলায় পাইলট অতি সন্তপণে জাহাজ চালান, নতুবা নয়। কাজেই গঙ্গা থেকে বেরুতে আমাদের দুদিন লাগলে । গঙ্গার শোভা ও বাঙলার রূপ হৃষীকেশের গঙ্গা মনে আছে ? সেই নির্মল নীলাভ জল—যার মধ্যে দশ হাত গভীরের মাছের পাখনা গোনা যায়, সেই অপূর্ব স্বস্বাছ হিমশীতল গাঙ্গাং বারি মনোহারি? আর, সেই অদ্ভূত ‘হর হর হর তরঙ্গোখ ধ্বনি, সামনে গিরিনিৰ্বরের হর হর প্রতিধ্বনি, সেই বিপিনে বাস, মাধুকরী ভিক্ষা, গঙ্গাগর্ভে ক্ষুদ্র দ্বীপাকার শিলাখণ্ডে ভোজন, করপুটে অঞ্জলি অঞ্জলি সেই জল পান, • চারিদিকে কণপ্রত্যাণী মংস্যকুলের নির্ভয় বিচরণ ? সে গঙ্গাজল-প্রীতি, গঙ্গার মহিমা, সে গাঙ্গ্যবারির বৈরাগ্যপ্রদ স্পর্শ, সে হিমালয়বাহিনী গঙ্গা, শ্ৰীনগর, টিহিরি, উত্তরকাশী, গঙ্গোত্রী, তোমাদের কেউ কেউ গোমুখী পর্যন্ত দেখেছ ; কিন্তু আমাদের কর্দমাবিলা, হরগাত্রবিঘর্ষণশুভ্রা, সহস্রপোতবক্ষণ এ কলকাতার আড়কাটা—যিনি বঙ্গর হইতে সমূদ্র পর্যন্ত জলের গভীরতাদি জানেন এবং বন্রের নিকটে জাহাজ চালাইবার ভার লম, pilot.