পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৩

ግbr স্বামীজীর বাণী ও রচনা প্রায় গোলকোণ্ডার প্রথম শ্রেণীর মতো। সে লাইন কলম্বো ছুয়ে যায়। এ গোলকোণ্ডা জাহাজে হরিকেন ডেকে’র উপর কেবল দুটি ঘর আছে ; একটি এ পাশে, একটি ও পাশে । একটিতে থাকেন ডাক্তার, আর একটি আমাদের দিয়েছিল। কিন্তু গরমের ভয়ে আমরা নীচের তলায় পালিয়ে এলুম। ঐ ঘরটি জাহাজের ইঞ্জিনের উপর। জাহাজ লোহার হলেও যাত্রীদের কামরাগুলি কাঠের ; ওপর নীচে, সে কাঠের দেয়ালে বায়ুসঞ্চারের জন্য অনেকগুলি ছিদ্র থাকে। দ্যালগুলিতে 'আইভরি পেণ্ট” লাগানো ; এক একটি ঘরে তার জন্য প্রায় পচিশ পাউণ্ড খরচ পড়েছে। ঘরের মধ্যে একখানি ছোট কাপে ট পাতা। একটি দ্যালের গায় দুটি খুরোহীন লোহার খাটিয়ার মতো এটে দেওয়া ; একটির উপর আর একটি। অপর দ্যালেও ঐ রকম একখানি ‘সোফা’। দরজার ঠিক উন্ট দিকে মুখ-হাত ধোবার জায়গা, তার উপর একখান আরশি, দুটো বোতল, খাবার জলের দুটো গ্লাস। ফি-বিছানার গায়ের দিকে একটি করে জালতি পেতলের ফ্রেমে লাগানো। ঐ জালতি ফ্রেম সহিত দ্যালের গায়ে লেগে যায়, আবার টানলে নেবে আসে। রাত্রে যাত্রীদের ঘড়ি প্রভৃতি অত্যাবশুক জিনিসপত্র তাইতে রেখে শোয়। নীচের বিছানার নীচে সিন্দুক প্যাটরা রাখবার জায়গা । সেকেণ্ড ক্লাসের ভাবও ঐ, তবে স্থান সংকীর্ণ ও জিনিসপত্র খেলো। জাহাজি কারবারটা প্রায় ইংরেজের একচেটে । সে জন্য অন্যান্য জাতেরা যে সকল জাহাজ করেছে, তাতেও ইংরেজযাত্রী অনেক ব’লে খাওয়াদাওয়া অনেকটা ইংরেজদের মতো করতে হয় । সময়ও ইংরেজী রকম ক’রে আনতে হয় । ইংলণ্ডে, ফ্রান্সে, জার্মানিতে, রুশিয়াতে খাওয়াদাওয়ায় এবং সময়ে অনেক পার্থক্য আছে। যেমন আমাদের ভারতবর্ষে—বাঙলায়, হিন্দুস্থানে, মহারাষ্ট্রে, গুজরাতে, মাষ্ট্ৰাজে তফাৎ i কিন্তু এ সকল পার্থক্য জাহাজে অল্প দেখা যায়। ইংরেজীভাষী যাত্রীর সংখ্যাধিক্যে ইংরাজী ঢঙে সব গড়ে যাচ্চে । বাস্পপ্লোতে সর্বেসর্ব কর্তা হচ্চেন কাপ্তেন’। পূর্বে ‘হাই সী’তে • কপ্তেন জাহাজে রাজত্ব করতেন ; কাউকে সাজ দিতেন, ডাকাত ধ’রে ফঁাসি দিতেন, ইত্যাদি। এখন অত নাই, তবে তার হুকুমই আইন—জাহাজে। তার নীচে ১ সমুদের যেখানে কোন দিকের কুলকিনার। দেখা যায় ন, অথবা যেখান হইতে নিকটবর্তী উপকূল দুই-তিন দিনের পথ।