পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক 哈> চারজন অফিসার’ বা (দিশি নাম) মালিম, তারপর চার পাচ জন ইঞ্জিনিয়র। তাদের যে ‘চীফ ’, তার পদ অফিসারের সমান, সে প্রথম শ্রেণীতে খেতে পায়। আর আছে চার পাচ জন 'স্বকানি’—যারা হাল ধ’রে থাকে পালাক্রমে, এরাও ইউরোপী। বাকী সমস্ত চাকর-বাকর, খালাসী, কয়লাওয়ালা হচ্ছে দেশী লোক, সকলেই মুসলমান । হিন্দু কেবল বোম্বায়ের তরফে দেখেছিলুম; পি এণ্ড ও কোম্পানির জাহাজে। চাকররা এবং খালাসীরা কলকাতার, কয়লাওয়ালারা পূর্ববঙ্গের, রণধুনীরাও পূর্ববঙ্গের ক্যাথলিক ক্রিশ্চান। আর আছে চারজন মেথর । কামরা হ’তে ময়লা জল সাফ প্রভৃতি মেথররা করে, স্বানের বন্দোবস্ত করে, আর পায়খানা প্রভৃতি দুরস্ত রাখে। মুসলমান চাকর-খালাসীরা ক্রিস্টানের রান্না খায় না ; তাতে আবার জাহাজে প্রত্যহ শোর তো আছেই। তবে অনেকটা আড়াল দিয়ে কাজ সারে । জাহাজের রান্নাঘরের তৈয়ারী রুটি প্রভৃতি স্বচ্ছন্দে খায়, এবং যে সকল কলকোত্তাই চাকর নয়া রোশনাই পেয়েছে, তারা আড়ালে খাওয়াদাওয়া বিচার করে না। লোকজনদের তিনটা ‘মেস আছে। একটা চাকরদের, একটা খালাসীদের, একটা কয়লাওয়ালাদের ; একজন ক’রে ভাণ্ডারী অর্থাৎ রাধুনী আর একটি চাকর কোম্পানি ফি-মেসকে দেয়। ফি-মেসের একটা রণধবার স্থান আছে। কলকাতা থেকে কতক হিন্দু ভেকযাত্রী কলম্বোয় যাচ্ছিল ; তারা ঐ ঘরে চাকরদের রান্না হয়ে গেলে রোধে খেত। চাকরবার্কররা জলও নিজের তুলে খায়। ফি-ডেকে দ্যালের গায় দুপাশে দুটি পম্পী ; একটি নোনা, একটি মিঠে জলের, সেখান হ’তে মিঠে জল তুলে মুসলমানেরা ব্যবহার করে। যে সকল হিন্থর কলের জলে আপত্তি নাই, খাওয়াদাওয়ার’সম্পূর্ণ বিচার রক্ষা ক’রে এই সকল জাহাজে বিলাত প্রভৃতি দেশে যাওয়া তাদের অত্যন্ত সোজা । রান্নাঘর পাওয়া যায়, কারুর ছোয়া জল খেতে হয় না, স্নানের পর্যস্ত জল অন্ত কোন জাতের ছোবার আবখ্যক নাই ; চাল ডাল শাক পাত মাছ দুধ ঘি সমস্তই জাহাজে পাওয়া যায়, বিশেষ এই সকল জাহাজে দেশী লোক সমস্ত কাজ করে বলে ডাল চাল মূলে কপি আলু প্রভৃতি রোজ রোজ তাদের বার করে দিতে হয়। এক কথা—পিয়সা ।. পয়সা থাকলে একলাই সম্পূর্ণ আচার রক্ষা ক’রে श्वांeघ्नीं यां★ ।