স্বামী বিবেকানন্দ । স্বামী যোগানন্দ প্ৰভৃতি পুনরায় তঁহার ভাবান্তর লক্ষ্য করিয়া গ্রীষ্মের অছিলায় তঁহাকে সঙ্গে লইয়া সান্ধ্যলমণে বহির্গত হইলেন এবং তাহার মনকে অন্যদিকে ধাবিত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। ক্রমে রাত্রি অধিক হইলে স্বামিজী পুনরায় প্রকৃতিস্থ হইলেন। এই ঘটনায় আমরা দেখিতে পাই স্বামিজীর মনের স্বাভাবিক। গতি কোন দিকে। ইহা যে অন্তঃসলিলা ভক্তি-প্রবাহে নিরন্তর সিঞ্চিত ও জ্ঞানকৰ্ম্মের বাহিত্যু উপলবরণে আচ্ছাদিত এবং সেই জ্ঞানকৰ্ম্মের আবরণ রক্ষা করিবার জন্য তঁাহাকে যে নিশিদিন প্রবল অন্তযুদ্ধে নিযুক্ত থাকিতে হইত। তাহা সহজেই বুঝিতে পারা যায়। তঁহার গুরু ভ্ৰাতাগণও জানিতেন যে সেই কঠিন শৈল্যাবরণ ভেদ করিয়া যেদিন তাহার হৃদয়নিহিত প্ৰেম-ভক্তির প্রবল উৎস ছুটিয়া বাহির হইবে সেদিন আর তঁহার ভঙ্গুর পার্থিব দেহ তাহার বেগধারণ করিতে সমর্থ হইবে না। সেইজন্য র্তাহারা তঁহাকে বিন্দুমাত্র বিমান দেখিলেই তঁহার মনের গতি ভিন্ন পথে প্রবাহিত করিবার চেষ্টা করিতেন । আরও একটি কারণে, উল্লিখিত ঘটনাটি স্মরণ করিবার যোগ্য। উহা যেন স্বামিজীর দুর্বোধ্য চরিত্রের একটী সরল টীকা স্বরূপ। যে চরিত্রে আপাতবিরোবী বহুবিধ ভাবসমাবেশে সাধারণের নিকট একটা জটিল প্ৰহেলিকার হ্যােষ বোধ হয়, তাহা উক্ত চিত্রে দর্পনের মত স্বচ্ছ হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। উহা হইতে আমরা “পরিষ্কার’ বুঝিতে পারি ԳՀ Ն
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।