ভক্তসঙ্গে । এমন কি একটি জীবের দুঃখও কিঞ্চিৎ পরিমাণে লাঘব করিবায় জন্য আমায় সহস্ৰধার জঠরবাস-ক্লেশ সহ কৰ্ত্তে হয় তাতেও আমি প্ৰস্তুত। শুধু একলা নিজের মুক্তি নিয়ে কি হবে ? সকলকে সঙ্গে নিযে ঐ পথে যেতে পারি। তবে তো !” এই সমযে একদিন তিনি শরৎবাবুকে সঙ্গে লইয়া প্ৰাতঃস্মরণীয়। মাতাজী তপস্বিনীর প্রতিষ্ঠিত মহাকালী পাঠশালা পরিদর্শন করিতে গমন করিলেন। মাতাজী স্বয়ং তঁহাকে কযেকটি শ্রেণী নেখাইলেন। একশ্রেণীর ছাত্রীরা তঁহার সম্মুখে দেবাদিদেব মহাদেধের একটি স্তোত্ৰ আবৃত্তি করিল এবং শিবাচৰ্চনার সমুদয বিধি প্ৰদৰ্শন করিল। একটি বুদ্ধিমতী বালিকা কালিদাসের “রঘুবংশ’ হইতে একটি শ্লোক আবৃত্তি করিয়া সংস্কৃতে উহার ব্যাখ্যা করিল। স্বামিজী অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া বালিকাকে আশীব্বাদ করিলেন। তিনি মাতাজীকে তাহার দৃঢ় অধ্যবস্থায়ের জন্য পুনঃ পুনঃ ধন্যবাদ দিলেন এবং ‘দর্শকবৃন্দের মন্তব্য পুস্তকে” একটি দীর্ঘ মন্তব্য লিখিয়া সৰ্বশেষে লিখিলেন “এই বিদ্যালয়ের কাৰ্য্য ঠিক পথে চলিতেছে।” পথে শরৎবাবুর সহিত স্বামিজীর স্ত্রীশিক্ষা সম্বন্ধে অনেক কথা হয়। স্বামিজীী এদেশের স্ত্রীলোকদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য আদর্শ স্ত্রী-বিদ্যালয় স্থাপনের আবশ্যকতা সম্বন্ধে অনেক কথা বলেন। তাহার মতে বালিকাগণকে উত্তমরূপে শিক্ষিতা ' না করিলে এবং বালিকা বিবাহ নিবারণ না করিলে এদেশের উন্নতি হওয়া অসম্ভব। এতদৰ্থে বিদ্যাজ্ঞানসম্পন্ন ব্ৰহ্মচারিণীগণ কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়া কৰ্ত্তব্য। মাতাজী ግxod
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।