আলমোড়ায়। তিনি তাহ অতিরঞ্জিত করিয়া স্বদেশীয়গণের নিকট কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, ইত্যাদি ইত্যাদি। পাঠক দেখিবেন, এগুলি গাত্রদাহ জর্জরিত ব্যক্তির প্রলাপোক্তি ব্যতীত আর কিছুই নহে। যাহা হউক, স্বামিজী। এ সকল অকিঞ্চিৎকর বিষয় লইয়া আন্দোলন করা অশ্লাঘ্য বিবেচনা করিতেন, সুতরাং প্রকাশ্যে ইহার কোন প্ৰতিবাদ করেন নাই। তবে আমেরিকায় তাহার শিষ্যেরা বিশেষতঃ মিসেস সারা বুলি তাহার পক্ষ সমর্থনা করিয়া পত্ৰাদি লিখিয়াছিলেন এবং তিনি স্বয়ং ব্যারোজ সাহেবের অকৃতকাৰ্য্যতায় দোষ কাহার তাহার আলোচনা করিয়া নিজ শিষ্যদের মধ্যে কাহাকে কাহাকে দু একখানি পত্রে একটু আধটু কিছু লিখিয়াছিলেন। চিকাগোর জনৈক বন্ধুকে ৩০শে জানুয়ারীর একটি পত্রে দেখি লিখিতেছেন- ❖ የ “ডাক্তার ব্যারোজকে ভালরূপ অভ্যর্থনা করিবার জন্য আমি লণ্ডন হইতে আমার দেশে একখানি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। সেখানে তঁর অভ্যর্থনাও বেশ সমারোহে হয়েছিল। কিন্তু তিনি যে কলিকাতায় কোন প্ৰতিপত্তি বিস্তার কন্নুতে পারেননি, সেটা কি আমার দোষ? এখন শুনচি ব্যারোজ আমার নামে কত কি বলচেন! জগতের গতিকই এই ৷” ৯ই জুলাই তারিখে স্বামিজী আমেরিকার আর এক বন্ধুকে নিম্নলিখিত পত্ৰখানি লেখেন। উক্ত বন্ধুর্টি সংবাদ-পত্ৰসমূহে স্বামিজীর বিরুদ্ধে নানাবিধ আক্রমণ পুনঃ পুনঃ প্ৰকাশিত হইতে দেখিয়া উহ। দ্বারা তাহার আরুব্ধ-কাৰ্য্যের সমূহ ক্ষতি সম্ভাবনায় বিশেষ চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন। ዓ 8 እ
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।