স্বামী বিবেকানন্দ । সব কথা বলে, ওটা কি তার লক্ষাংশের একাংশও হ’বে ? এই “ভারতেব বিধৰ্ম্মীদেবী বিৰুদ্ধে খৃশ্চান। ইষাঙ্কি নরনারী যে বিজাতীয় ঘূণা প্ৰকাশ করে, সপ্তসমুদ্রের জলেও তা’ ধোওয়া যায় না ! অথচ আমরা ওঁদেব কি ক’রেছি । আগে ওরা অপরের মুখে নিজেদের সমালোচনা শুনে ধৈৰ্য্য ধস্ততে শিখুন। তারপর যেন পরের সমালোচনা করেন। মনস্তত্ত্ববিদরা জানেন এটা মানব মনের একটা আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্ম যে যাবা দিনরাত পাবকে খোচা দেয তারা নিজেদেব সম্বন্ধে পরের সামান্য একটা কথার ভারও সইতে পারে না। আর তাছাড়া ওরা আমাব করেচেন। কি ? তোমার পরিবারবর্গ, মিসেস বি-, মিঃ ও মিসেস লআর জনকতক সহৃদয় ব্যক্তি-এর ছাড়া আর কে আমার কাজে বিন্দুমাত্র সাহায্য কবেচোন ? আমি মুখ দিয়ে রক্ত উঠে খেটে এখন ত মরবার দাখিল হযেছি।--জীবনের সারাংশটা আমেরিকায কাটিযে এলুম, নিজের যতটা শক্তি ছিল সব খোযালুম-কেন ? না, ওদেশের লোককে উদার উন্নত কম্বুবার জন্য ও ওদের আধ্যাত্মিক মার্গে নিযে যাবার জন্য ! ইংলণ্ডে আমি মাত্র ছ’মাস খেটেছিলুম। সেখানে আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলেনি—শুধু একবার ছাড়া—তাও একটা আমেরিকান স্ত্রীলোকের কাৰ্য্য-শুনে আমার ইংরেজ বন্ধুরা হাঁফ ছেড়ে বাচেন! শুধু যে কেউ আমায় কোন আক্রমণ করেনি তা’ নয়, বরং ইংরেজ ধৰ্ম্মনায়কদের মধ্যে অনেক ভাল ভাল লোক আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হ’য়ে উঠেছিলেন। সেখানে আমি না চেয়েও অনেক সাহায্য পেয়েছি, এবং জানি পরে ግ88
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।