স্বামী বিবেকানন্দ । হইবে। স্বামিজী কখনও হিন্দী বক্তৃতা করেন নাই, আর হিন্দীভাষাও সুললিত বক্তৃতা প্রদানোপযোগী বলিয়া পূৰ্ব্বে কাহারও ধারণা ছিল না । কিন্তু স্বামিজী প্ৰথমে ধীরুভাবে আরম্ভ করিয়া শীঘ্রই বিষযের গুরুত্ব প্রভাবে ভাষার দৈন্য অতিক্ৰম করিলেন এবং সুস্পষ্ট অথচ ওজস্বিনী ভাষায় তাহার বক্তব্যসমূহ বিবৃত করিতে লাগিলেন। সকলেই বিস্মিত তুষ্টয়া দেখিল ভাষা যেন তঁহার হস্তে যন্ত্রবিশেষ হইয়া যথেচ্ছ পরিচালিত হইতেছে-এমন কি তিনি নূতন নূতন শব্দ প্ৰণয়ন দ্বারা তাহাকে বিবিধ অলঙ্কারে ভূষিত করিলা অনর্গল 'অপনার মনোভােব ব্যক্তি করিতেছেন। যাহাঁদের ধারণা ছিল হিন্দীভাষা অসম্পূর্ণ তাহদের দম দূর হইল এবং হিন্দীভাষাভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই একবাক্যে স্বীকার করিলেন উক্ত ভাষায় এরূপ বিজযলাভ এই প্ৰথম, অর্থাৎ স্বামিজী ঐ ভাষায় বক্তৃতা করিধ্যা যেরূপ কৃতকাৰ্য্য হইলেন, এরূপ আর কেহ কখনও হন নাই--- “শুধু তাঁহাই নতে, তিনি তাহার বক্তৃতা দ্বারা ইহাও প্রমাণ করিয়াছেন যে, হিন্দীভাযার মধ্যে এমন যথেষ্ট উপাদান আছে, যাদবলম্বনে ঐ ভাষার অচিন্তিতপূৰ্ব্ব উন্নতিসাধন করিয়া উহাকে ওজস্বিনী বক্তৃতার উপযোগিনী করা যাইতে পায়ে ” এই বক্তৃতায় প্রায় চারিশত বাছা বাছা উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির সমাগম হইয়াছিল। ইংলিশ ক্লাবে যে বক্তৃত হয়, তাহাতে স্থানীয় সমুদয় ইংরাজ অধিবাসীই উপস্থিত ছিলেন। গুর্থ রেজিমেণ্টের কর্ণেল পুলি (Col. Pulley) সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। ዓ ¢X»
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।