স্বামী বিবেকানন্দ । হাইমা গিয়াছে ; যেন “আমি” “তুমি” “উহ” “ইহা’ এই ভেদাবোধ আর নাই । যে সকল বিভিন্ন ব্যক্তি তথাষ সমবেত হইষাছিলেন তাহারা যেন সেই কৰা মুহূৰ্ত্ত আচাৰ্য্যবরোধ দেহনি-সুত আধ্যাত্মিক জ্যোতিঃপ্রবারে আত্মহারা কইনা মন্ত্রমুগ্ধবৎ অবস্থান করিতে লাগিলেন । যাহাবা স্বামিঈীব বস্তু?৩) অনেকবার শ্ৰবণ করিষাছেন, এখােপ অনুভূতি তঁহাদেব নিকট নািতন নহে। তঁাহাবা জানেন মধ্যে মধ্যে এমন দু’। একটা মুকুত্ত আসে যখন আবী বোধ হয না। তিনি অবহিতচিত্ত দোষ গুণ সমালোচক শ্ৰোতৃবৃন্দোব সমক্ষে বক্তৃতাক।’লা স্বামী বিবেকানন্দ-সে সমযে সব ভেদবুদ্ধি ও ধ্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ক্ষণকালে । জন্য অন্তহিঁত হয-নামৰূপ৷ উড়িষ্যা যায়।--কেবল থাকে একম।ণ চৈতন্য সন্ত্ৰা--যাহতে বক্তা, খাকা ও শ্ৰোত। এক হইয। মিলিখা যায ।” দাৰ্জিলিং ও আলমোড়ায স্বামিজী কৰ্ম্মেব আহবান হইতে অনেকটা দুবে ছিলেন। এ সমযকার মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল ভগ্নস্বাস্ত্যের উন্নতিসাধন। পূর্বের স্বাস্থ্য আর ফিরিদা না বটে, কিন্তু ধে ভাবে শরীর ভাঙ্গিতে আরম্ভ করিয়াছিল, এই বায়ু পরিবর্তন ও বিশ্রামে তাহার বেগ কিঞ্চিৎ কমিল। কিন্তু তিনি বুঝিয়াছিলেন সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ আর তাহার অদৃষ্ট নাই, পরলোকেব। ঘনীভূত ছায়া ধীর মন্দ পদক্ষেপে ক্রমশঃ তাহার দিকে অগ্রসর হইতেছে। সেইজন্য তিনি ভারতবাসীর নিকট তাহার যাহা কিছু বলিবার ছিল তাহ শুনাইবার অভিলাষে তৎপব হইয়া পুনরায় অমিত উষ্ঠ্যমে কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন। r.
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।