স্বামী বিবেকানন্দ । যাইবে । তার চেয়ে অৰ্দ্ধেক লওয়া যাউক আর বাকী ফেরত দিই। ইহাতেই আমার ও সঙ্গীদের লমণব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইবে।” এই বলিয়া তিনি সেভিয়ার সাহেবের সহিত দেখা করিয়া অৰ্দ্ধেক টাকা ফিরাইয়া দিলেন। মারি ত্যাগ করিয়া ৮ই তারিখে তঁাহারা টঙ্গাযোগে বারামুল্লায় উপস্থিত হইলেন। এখান হইতে নৌকায় আরোহণ করিয়া শ্ৰীনগরে যাওয়া হইল, পথে নানা বিষয়ের আলোচনা হওয়ায় বড়ই আনন্দে কাটিল । শ্ৰীনগরে পৌঁছিয়া তিনি কাশ্মীরপ্রধাসী সুপ্ৰসিদ্ধ চিফ জাষ্টিস ঋষিবর মুখোপাধ্যায়ের অতিথি হইলেন। মুখোপাধ্যান্য মহাশয় তঁহাকে নিজগৃহে রাখিয়া বিশেষ যত্নের সহিত পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন। বহু কাশ্মীরী পণ্ডিত স্বামিজীর নিকট আসিয়া নানাবিধ সৎচৰ্চা করিতে লাগিলেন। তৃতীস দিবসে তিনি রাজপ্ৰসাদ দর্শনে গমন করিলেন। পরদিবস রাজস্থাত রাজা রামসিংহের সহিত সাক্ষাৎ হইল। মহারাজ তখন জম্মুতে ছিলেন। রাজা রামসিংহ স্বামিজীর প্রতি সাতিশীল সন্মান প্ৰদৰ্শন করিয়া একখানি চেয়ারে বসাইলেন এবং স্বয়ং পাত্ৰমিত্র ও সভাসদগণ সহ নিম্নে উপবেশন করিলেন। দুই ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত নানা বিষয়ে, বিশেষতঃ ধৰ্ম্ম ও সাধারণের উন্নতি বিধান সম্বন্ধে আলোচনা হইল। রাজা স্বামিজীর সহিত আলাপে নিরতিশয় মুগ্ধ হইলেন ও তঁহার প্রস্তাবিত কাৰ্য্যে সহায়তা করিতে প্ৰতিশ্রত হক্টলেন। শ্ৰীনগরে স্বামিজী, সাধু, পণ্ডিত, বিদ্যাখী, উচ্চরাজকৰ্ম্মচারী ও ৭৬৩২
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।