স্বামী বিবেকানন্দ নারাষণদাস, বাবা ক্ষেমসিংহের পুত্র ও প্রকাশানন্দের সহিত কথাপ্রসঙ্গে তিনি আৰ্যসমাজ ও মুসলমানদিগের সম্বন্ধে অনেক শঙ্কা সমাধান করিলেন এবং তৎপর দিবস প্ৰকাশানন্দের সহিত স্থানীয় কালীবাড়ীতে গমন করিযী ভোজনান্তে এক শিখের সহিত অনেক চৰ্চা কবিলেন। সে সমযে অনেক বাঙ্গালী ভদ্রলোকও উপস্থিত ছিলেন । সন্ধ্যার পর কালীবাড়ীতে অনেক বাঙ্গালী ভদ্রলোক সমবেত হইলে একটী ক্ষুদ্র সভা হইল। তাতাতে স্বদেশের কিসে প্রকৃত কল্যাণ হয়, এবিষয়ে স্বামিৰ্জী অনেক উপদেশ দিলেন। এই ভাবে কয়েক দিন কাটয গেল, হংসরাজের বাটীতে এবং সেভিয়ার সাহেবের বাংলাতেও কয়দিন খুব দীর্ঘ প্ৰসঙ্গ চলিল। যাত্রার দিন মধ্যাহ্ন ভোজনের পর তিনি জনকয়েক দর্শকের সহিত আলাপে নিযুক্ত আছেন, এমন সময়ে এজকন গুৰুলাত একটি ফিটন গাড়ী লইয়া আসিযা বলিলেন যে একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোক তাহার সহিত দেখা করিতে চাহেন। স্বামিজী তৎক্ষণাৎ উঠিলেন। প্রকাশনন্দ ও অপর কয়েকজন তাহার অনুবন্তী 'হইলেন। বাঙ্গালী ভদ্রলোকটি স্বামিজীকে পাঁচটি প্রশ্ন করিলেন ও বলিলেন “এই পাঁচটি প্রশ্নের সদুত্তর না পাইলে আমি নাস্তিক হইয়া যাইব।” স্বামিজী একটি একটি করিয়া প্ৰত্যেক প্রশ্নের তন্ন তন্ন বিচার ও সূক্ষ্ম মীমাংসা করিয়া দিলে ভদ্রলোকটির মন হইতে সকল সন্দেহ অপসৃত হইল এবং তিনি সম্পূর্ণ কৃতকৃতাৰ্থ হইয়া ভঁাহাকে জলযোগ করাইলেন। ঐ দিন রাত্ৰি বারোটার সময় তিনি রাওলপিণ্ডি ত্যাগ بابا) ۹
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।