উত্তর ভারতে প্রচার । নহে, তথাপি সকলেই জানেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনায় মহাপুরুষগণের প্রকৃত মহত্ত্ব বুঝা যায়। স্বামিজীর জনৈক শিষ্য, যিনি এই সময়ে তঁহার সঙ্গে ছিলেন, এই ঘটনাগুলি বিবৃত করিয়াছেন । “স্বামিজী তাহার জনৈক সঙ্গীর নিকট অনেকক্ষণ ধরিষা কোন ব্যক্তির খুব প্ৰশংসা করিতেছিলেন, এমন সময়ে তাহার সঙ্গী হঠাৎ বলিষ উঠিলেন, “কিন্তু সে ব্যক্তি, স্বামিজী, আপনাকে মানে না।” স্বামিজীী তৎক্ষণাৎ বলিলেন “ভাললোক হইতে হইলে যে আমাষ মানিতে হইবে, ইহার মানে কি ?” সঙ্গীটি নিতান্ত অপ্ৰতিভ হইলেন। “এই সময়ে লাহোরে গ্রেট-ইণ্ডিয়ান সার্কাস আসিয়াছে। একদিন কোন কাৰ্য্য উপলক্ষে উহার অন্যতম স্বত্বাধিকারী বাবু মতিলাল বসু। নগেন গুপ্তের বাটীতে আসিয়াছেন। স্বামিজী দেখিয়াই চিনিলেন, তাহার বাল্যবন্ধু। আমনি তিনি নিতান্ত আত্মীয়ের ন্যায় খোলাখুলি ভাবে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন । বাল্যকালে ইহার এক আখড়ায় ব্যায়াম করিতেন। মতিবাৰু, তাহার বাল্যসঙ্গীর অপূৰ্ব্ব তেজ, প্রস্ক্রিীড়া ও শক্তিপ্ৰদীপ্ত মুখমণ্ডল দেখিয়া যেন ঝলসিয়া গেলেন—স্বামিজী যতই তাহার সহিত আপনার মত ব্যবহার ও তদনুরূপ * কথাবাৰ্ত্ত কহিবার চেষ্টা করিতেছেন, তিনিও যেন ততই সন্ধুচিত হইয়া যাইতেছেন। শেষে অনেকটা সাহস সংগ্ৰহ করিয়া মতিবাবু স্বামিজীকে সম্বোধন করিয়া অতি দীনস্বরে বলিলেন, “ভাই, তোমায় এখন কি বলে ডাকৃব ?” স্বামিজী ፃ ዓq
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।