স্বামী বিৱেকানন্দ। দেখিলেন পথপার্থে একখানি পরিচিত মুখ। অমনি তিনি চীৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিলেন “সদানন্দ বাবা’ ‘সদানন্দ বাবা” “এদিকে এস।” গাড়ী থামান হইল, সদানন্দ স্বামী "মাসিলেন এবং তঁহার সহিত একত্ৰে চলিলেন । বহুদিন পরে পবিচিত ব্যক্তি দেখিলে তঁাহাব প্ৰেমসমূদ্র যেন উথলিয়া উঠিত। কলিকাতায্য বলবামবাবুৰ বাটীতে উপেন্দ্রবাবু নামে এক ভদ্রলোক (ইনি প্রেসিডেন্সী কলেজে স্বামিজীব সহপাঠী ছিলেন) একদিন তাহাকে দেখিতে আসিযাছিলেন। স্বামিজী তখন প্ৰায় পঞ্চাশজন লোকের দ্বারা বেষ্টিত হইযা কথা কহিতেছিলেন। কিন্তু উপেন্দ্রবাবুকে দেখিবামাত্র আসন হইতে উঠিষা দৌড়াইয়া বাহুপ্ৰসাবৰ্ণপূর্বক আলিঙ্গন কবিলেন। উপেন্দ্রবাবু বলেন যে সেই দিন তাহার মনে পাঠ্যাবস্থােব স্মৃতি জাগিয়া উঠিয়াছিল। বাস্তবিক স্বামিজী যাহার সহিত এক দিবসও আলাপ কবিতেন, বহুবর্ষ অতীত হইলেও তাহাকে দুলিতেন না। আলোয়ারেও পূৰ্ব্বীপবিচিত বন্ধুদিগের সহিত আলাপ করিতে করিতে স্বামিজীর বড় আনন্দবোধ হইল। তিনি তঁহাদিগকে তাহার ক্রমণের কাহিনী শুনাইতে লাগিলেন এবং ভাবতবর্ষে কি কি কাৰ্য্য কৱিবেন তাহা সবিস্তাবে বর্ণনা করিতে লাগিলেন । তাহারা তাহার্কে পার্থিব সম্মানে অবিকৃত ও পূৰ্ব্ববৎ প্ৰেমপূৰ্ণ হৃদয় সুহৃৎ এবং সবল ও সত্যানুরাগী সন্ন্যাসী দর্শন করিয়া নিতান্ত বিক্ষিত ও পুলকিত হইলেন। চতুর্দিক হইতে এত নিমন্ত্রণ আসিতে লাগিল যে সকল ዓb፡'ኳ”
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।