পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলাম্বর বাবুর বাগানে। শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণেদেবের পরম ভক্ত বাবু নবগোপাল ঘোষের নবনিৰ্ম্মিত বাটীতে শ্ৰীীরামকৃষ্ণদেবের বিগ্ৰহ প্ৰতিষ্ঠা উপলক্ষে আহূত হন। সে এক অপুৰ্ব্ব দৃশ্য ! মঠ হইতে তিনখানি । ডিঙ্গি ভাড়া করিয়া স্বামিজী মঠের যাবতীয় সন্ন্যাসী ও বালব্ৰহ্মচারিগণকে সঙ্গে লইয়া রামকৃষ্ণপুরের ঘাটে উপস্থিত হইলেন। স্বামিজীর পরিধানে গেরুয়া রঙ্গের বহিৰ্ব্বাস, মাথায় পাগড়ী-খালি পা। রামকৃষ্ণপুরেব ঘাট হইতে তিনি যে পথে নবগোপাল বাবুর বাড়ীতে যাইবেন, সেই পথের দুইধারে অগণ্য লোক তঁাহাকে দর্শন করিবে বলিযা দাড়াইয়া রহিয়াছে। ঘাটে নামিয়াই স্বামিজী “দুখিনী ব্ৰাহ্মণী কোলে কে গুয়েছ। আলো ক’রে, কেরে ওরে দিগম্বর এসেছ কুটীর ঘরে” গানটী ধরিয়া স্বয়ং খোল বাজাইতে বাজাইতে অগ্রসর হইলেন। আর দুই তিন খানা খোলও সঙ্গে সঙ্গে বাজিতে লাগিল এবং সমবেত ভক্তগণের সকলেই সমস্বরে কী গান গাহিতে গাহিতে র্তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিতে লাগিলেন। উদাম নৃত্য ও মৃদঙ্গধবনিতে পথ ঘাট মুখরিত হইয়া উঠিল । * * * লোকে মনে করিয়াছিল-স্বামিজী কত সাজসজ্জা ও আড়ম্বরে অগ্রসর হইবেন । কিন্তু যখন দেখিল তিনি অন্যান্য মঠাধারী সাধুগণের ন্যায় সামান্য পরিচ্ছদে, খালি পায়ে মৃদঙ্গ ঘাড়ে করিয়া পথে পথে সঙ্কীৰ্ত্তন গাহিয়া চলিয়াছেন তখন অনেকে তাহাকে প্ৰথম চিনিতেই পারিল না এবং অপরকে জিজ্ঞাসা করিয়া যখন জানিতে পারিল ‘ইনিই বিশ্ববিজয়ী স্বামী "বিবেকানন্দ ।” তখন তাহার অমানুষিক দীনতা দেখিয়া সকলেই tros