স্বামী বিবেকাননন্দ । আশ্চৰ্য্য হইয়া সহস্রথুখে তাহার সাধুবাদ কীৰ্ত্তন করিতে লাগিল । ক্ৰমে দলটীি নবগোপাল বাবুর বাটীর দ্বারে উপস্থিত হইবামাত্র গৃহমধ্য হইতে শাক ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল। স্বামিজী মৃদঙ্গ নামাইয়া বৈঠকখানার ঘরে কিযৎকাল বিশ্রাম করিয়া ঠাকুবঘর দেখিতে উপবে চলিলেন। ঠাকুরঘরখানি মৰ্ম্মর প্রস্তরে গ্রথিত । মধ্যস্থলে সিংহাসন, তদুপরি ঠাকুবের পোর্সিলেনের প্রতিমূৰ্ত্তি। হিন্দুর ঠাকুর পূজায যে যে উপকবণের আবশ্যক, আযোজনে তাহার কোন অঙ্গের ত্রুটী নাই। স্বামিজী দেখিযা বিশেষ প্ৰসন্ন হুইলেন । নিবগোপাল বাবুব গৃহিণী অপরাপর কুলবধগণের সহিত স্বামিজীকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণাম করিলেন এবং পাখা লইযা তাহাকে ব্যঞ্জন করিতে লাগিলেন । স্বামিজীর মুখে সকল বিষযে সুখ্যাতি শুনি যা গৃহিণী ঠাকুরাণী তাহাকে সম্বোধন করিষা বলিলেন—“আমাদের সাধ্য কি যে, ঠাকুরের সেবাধিকার লাভ করি ? সামান্য ঘরসামান্য অর্থ-আপনি আজ নিজে কৃপা করিষা ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠিত কবিয আমাদের ধন্য করুন।” স্বামিজী তদুত্তরে ' রহস্য করিয়া বলিতে লাগিলেন“তোমাদের ঠাকুর ত এমন মারবেল পাথর মোড়া ঘরে চৌদপুঞ্জষে বাস করেন নি। সেই পাড়া গেয়ে খোড়ো ঘরে জন্ম। যেন তেন করে দিন কাটিয়ে গেছেন। এখানে এমন উত্তম সেবায় যদি তিনি না থাকেন ত আর কোথায় থাকবেন ?” Yʻo R
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।